দেশের সবচেয়ে উঁচু সড়কপথের উদ্বোধন
জনসাধারণের চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে দেশের সবচেয়ে উঁচু সড়কপথ। আজ মঙ্গলবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে থানচি-আলীকদম সড়কের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর পরই খুলে দেওয়া হয় এই সড়কপথ।
আজ বেলা ১১টা ২০ মিনিটে গণভবন থেকে বান্দরবান জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সরাসরি যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী। বান্দরবানে উপস্থিত পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুরের সঙ্গে কথা বলে সড়কটির শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন তিনি।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘পার্বত্যবাসীর যোগাযোগ এবং আর্থসামাজিক উন্নয়নে সহায়ক হবে সড়কটি। ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দেশের সবচেয়ে উঁচু সড়কের উদ্বোধন করলাম। একদিন সড়কটি ভ্রমণে যাব। দেশের মাটিতে পাহাড়ের চূড়ায় সর্বোচ্চ উঁচু সড়কের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য স্বচক্ষে দেখার সুযোগ মিস করা যাবে না।’
দেশের বিভিন্ন স্থানে চলমান উন্নয়ন প্রকল্পের প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সমগ্র বাংলাদেশের প্রত্যেক অঞ্চলের মানুষকে আমি অনুরোধ করব, যেসব প্রকল্প আমরা দিয়েছি, প্রকল্পের টাকাটা ঠিকমতো খরচ করে উন্নয়নের কাজটা যেন যথাযথভাবে হয়। তাতে দেশের মানুষই লাভবান হবে এবং দেশের আর্থসামাজিক উন্নতি হবে। কাজেই আমরা খুব দ্রুত আমাদের অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারব।’
বান্দরবানের থানচি-আলীকদম উপজেলার অভ্যন্তরীণ এই সড়ক সমুদ্রপৃষ্ট থেকে প্রায় আড়াই হাজার ফুট উঁচুতে পাহাড়ের ওপরে অবস্থিত।
সেনাবাহিনীর প্রকৌশল শাখা জানায়, ১৯৯৯ সালে সড়ক ও জনপথ বিভাগ প্রথমে থানচি-আলীকদম অভ্যন্তরীণ সড়ক নির্মাণের কাজ শুরু করে। চার বছর সড়ক তৈরির কাজ করার পর ২০০১ সালে সেনাবাহিনীর প্রকৌশল শাখা ১৭ ইসিবিকে সড়কটি হস্তান্তর করা হয়। ২০০১ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ১৭ ইসিবি ১৮ কিলোমটিার পর্যন্ত সড়কটি নির্মাণকাজ করে। গত বছরের অক্টোবর থেকে সড়কটি দেওয়া হয় সেনাবাহিনীর ১৬ ইসিবিকে। তারা থানচি থেকে আলীকদম পর্যন্ত ৩৫ কিলোমিটার দীর্ঘ সড়কটি দুই কিলোমিটার কমিয়ে ৩৩ কিলোমিটারে নিয়ে আসে। সব মিলিয়ে প্রায় ১২০ কোটি টাকা ব্যয়ে সড়কটি নির্মাণ করা হয়।