বয়স্কদেরও প্রিয় ফেসবুক
অনেক মানুষই ভেবে থাকে ফেসবুক শুধু তরুণদের জায়গা এবং শুধু অল্প বয়সীরাই ঘণ্টার পর ঘণ্টা ফেসবুকে বসে থেকে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দেয়। একই সঙ্গে ছবি আপলোড আর স্ট্যাটাস আপডেট দিয়ে থাকে, কিন্তু এসব ধারণাকে একেবারেই অমূলক বলে উড়িয়ে দিয়েছে ব্রিটেনভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিলভার সার্ফস।
তাদের সর্বশেষ জরিপে জানা গেছে পঞ্চাশোর্ধ্ব মানুষও ফেসবুকে বসে খুঁজে বেড়ান তাঁদের পুরোনো দিনের ভালোবাসার মানুষদের। এমনকি তাঁদের সঙ্গে আবার যোগাযোগ করার চেষ্টাও করেন।
ডেইলি মেইলের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৫০ বছরের বেশি বয়সী প্রতি ছয়জন মানুষের মধ্যে একজন সেলফি আপলোড করেন, যাতে পুরোনো ভালোবাসার মানুষ তাঁকে দেখতে পারেন, এই বয়সে এসে সে দেখতে কেমন হয়েছে!
আর জরিপে অংশ নেওয়া প্রায় অর্ধেক পঞ্চাশোর্ধ্ব ব্যক্তি মনে করেন, বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা ফেসবুকে আরো বেশি সময় কাটাবেন। কারণ ফেসবুক তাঁদের সাহায্য করে ভালোবাসার মানুষটির কাছে থাকতে।
সিলভার সার্ফসের প্রধান নির্বাহী মার্টিন লক বলেন, ‘আমরা প্রায় তিন হাজার মানুষের ওপর জরিপটি চালিয়েছি এবং ফেসবুকের আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তা দেখে আমরা রীতিমতো বিস্মিত। বলতেই হবে পঞ্চাশোর্ধ্ব মানুষের জন্য সোশ্যাল নেটওয়ার্কিংয়ের রাজা হচ্ছে ফেসবুক।’
জরিপের ফলাফলে আরো বলা হয়েছে, এই প্রবীণদের মধ্যে প্রায় ৮১% মানুষ প্রতিদিন একাধিকবার ফেসবুকে লগইন করে। ৩৭% স্বীকার করে নেয় যে ফ্রেন্ডলিস্টের বন্ধুরা কী করছে, সেদিকেও তারা নিয়মিত খেয়াল রাখে।
তবে পঞ্চাশোর্ধ্ব এই ব্যক্তিরা খুব স্বস্তির সঙ্গে ফেসবুক ব্যবহার করছে দেখে বিশেষজ্ঞরা আশা করছেন, এই জাদুকরি সাইটটি ভবিষ্যতে বয়স্ক মানুষদের সাহায্য করবে তাদের আত্মীয়স্বজন এবং বন্ধুদের কাছাকাছি থাকতে। বেশির ভাগ প্রবীণের মধ্যে যে এক ধরনের একাকিত্ব থাকে, সেটিও কাটিয়ে ওঠা সম্ভব ফেসবুকের মাধ্যমে।