মংলায় সতর্কাবস্থায় নৌযান
ঘূর্ণিঝড় ‘কোমেন’ মোকাবিলায় মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পৃথক নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে। সতর্কাবস্থায় রাখা হয়েছে বন্দরে অবস্থানরত দেশি-বিদেশি সব বাণিজ্যিক জাহাজ। এ ছাড়া সাগর-নদী পথে চলাচলরত কার্গো, কোস্টার ও ট্যাংকারসহ সব ধরনের নৌযান নিরাপদে অবস্থান নিয়েছে।
দুর্যোগ মোকাবিলায় মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ, কোস্টগার্ড ও উপজেলা প্রশাসন আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে পৃথক জরুরি বৈঠক করেছে। ৩৯টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে স্থানীয় প্রশাসন দাবি করলেও বাস্তবচিত্র ভিন্ন।
এ দিকে গতকাল বুধবার রাতে চার নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত জারির পর থেকে পৌর এলাকাসহ ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে মাইকিং করা হলেও পাঁচ নম্বর বিপদ সংকেতের পর আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে কোথাও কোনো মাইকিং করা হচ্ছে না। কোথাও কোনো সিগন্যাল পতাকা টানাতে দেখা যায়নি। এ ছাড়া ছুটি ঘোষণা না করায় সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রয়েছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. নাহিদুজ্জামান দুর্যোগ মোকাবিলায় ৩৯টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখার দাবি করলেও শহরের কাছাকাছি কানাইনগর ও চিলা এলাকায় গিয়ে দেখা যায় আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে তালা ঝুলছে।
আজ সকাল থেকে রৌদ্রোজ্জ্বল আবহাওয়া বিরাজ করায় ঘূর্ণিঝড়ের তেমন কোনো সতর্কতা নেই উপকূলের বাসিন্দাদের মধ্যে। দুপুর পর্যন্ত এখানকার আবহাওয়া স্বাভাবিক রয়েছে।
সাগর ও সুন্দরবনে মাছ ধরতে যাওয়া প্রায় ২০ হাজার জেলে-মাঝিমাল্লা সুন্দরবনের দুবলার চরসহ আশপাশের নদী-খালে নিরাপদে আশ্রয় নিয়েছে বলে জানিয়েছে দুবলা ফিসারম্যান গ্রুপের চেয়ারম্যান মেজর (অব.) জিয়া উদ্দিন আহমেদ।
সাগর থেকে জেলেদের নিরাপদে ফিরতে সহায়তা করছে র্যাব-৮ ও কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের সদস্যরা। কোস্টগার্ড সদস্যরা সুন্দরবনের বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রগুলো উন্মুক্ত রেখেছে।