পুরুষদের কর্মক্ষমতা কমার কারণ
বয়ঃসন্ধিকালে পুরুষদের মধ্যে বাড়তি কর্মক্ষমতা থাকে। তবে ৩০ বছরের পর সেটা ধীরে ধীরে কমতে শুরু করে। অনেক পুরুষের ক্ষেত্রেই দেখা যায়, এই সময়টায় কাজের উদ্যম এবং শক্তি কমতে শুরু করে। লাইফস্টাইল-বিষয়ক ওয়েবসাইট বোল্ড স্কাই জানিয়েছে পুরুষদের কর্মক্ষমতা কমে যাওয়ার কিছু কারণ।
অতিরিক্ত অবসন্নতা
মানসিক চাপ এবং অত্যন্ত ক্লান্তির কারণে অবসন্নতা তৈরি হয়। এটা কর্মক্ষমতা কমিয়ে দেয়। তাই অবস্থার ভারসাম্য করা শিখুন এবং যে বিষয়গুলো আপনাকে অবসন্ন করে তোলে, সেগুলো এড়িয়ে চলুন।
টেসটোসটেরোন
৩০ বছরের পর পুরুষদের হরমোনে টেসটোসটেরনের মাত্রা কমতে থাকে। এর ফলে ইনসমনিয়া, অবসন্নতা, চর্বি ইত্যাদির সমস্যা তৈরি হয়। শারীরিক শক্তি কমে যাওয়ার এটি আরেকটি কারণ।
থাইরয়েড সমস্যা
থাইরয়েড হরমোনের মাত্রা অপর্যাপ্ত থাকার কারণে অনেক সময় কর্মক্ষমতা কমে যেতে পারে। পেশি ব্যথা, কোষ্ঠকাঠিন্য, শুষ্ক ত্বক, পাতলা চুল ইত্যাদি এই সমস্যার লক্ষণ। এ ধরনের কোনো সমস্যা দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
ঘুম কম হওয়া
ঘুমের পরিমাণ কমে গেলে সেটা অবসন্নতা তৈরি করতে পারে। খাওয়ার পর মানব শরীরের গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ঘুম। ঘুম না হলেও ক্লান্তি এবং অবসন্নতার কারণে কর্মক্ষমতা কমে যেতে পারে।
বিষণ্ণতা
বিষণ্ণতা কর্মক্ষমতা কমিয়ে দেয়, দুঃখ বাড়িয়ে দেয়, দৈনন্দিন কাজকর্মে আগ্রহ হারিয়ে ফেলাসহ অনেক ধরনের সমস্যা দেখা দেয়।
আয়রনের অভাব
আয়রনের অভাব, রক্তস্বল্পতার কারণে পুরুষদের কর্মক্ষমতা কমে যায় এবং অল্পতেই ক্লান্তিভাব চলে আসে।
কম খাওয়া
অপুষ্টি অথবা কম খাওয়ার কারণে পুরুষদের শরীরের শক্তি কমে যায়। সঠিক খাদ্যাভ্যাস এবং নিয়মিত ব্যায়াম শরীরের শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
অন্যান্য সমস্যা
কিডনি ফেইলিওর, লিভার ফেইলিওর, ক্যানসার, হার্টে সমস্যা, ডায়াবেটিস – এ রকম বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যাও পুরুষদের কর্মক্ষতা কমিয়ে দিতে পারে। তাই ৩০ বছরের পর শরীরে যে কোনো রোগের ক্ষেত্রেই নিয়ম মেনে চলা উচিত এবং রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখা উচিত।