ড্রাগনের দেশে দুমুখো গোখরা!
যত কাণ্ড ড্রাগনের দেশে ! প্রবাদকে সত্যি পরিণত করে চীনের এক সাপের খামারে জন্মাল দুমুখো এক গোখরা। দক্ষিণ চীনের গুজুং প্রদেশের ন্যানিং শহরে বিরল এই সরীসৃপটির খোঁজ মিলেছে।
ন্যানিংয়ের সাপের খামার মালিক হুইফেন হো পিপলস ডেইলিকে জানান, জুলাই মাসের শেষ দিকের ঘটনা। বিষ উৎপাদনের জন্য চাষ করা বিষধর গোখরার বাচ্চা জন্মানোর পর তিনি দেখতে পান, গোখরার ছানাটি বেরিয়েছে- তার দুটি মাথা। আক্ষরিক অর্থেই দু-মুখো সাপ!
বিরল এই ছোট্ট গোখরা জন্মের পর তাকে আলাদা রাখেন হুইফেন। দুই দিন পর তিনি লক্ষ করলেন বাচ্চা সাপটি পানি ও খাবার কিছু খাচ্ছে না। পরে তিনি এক পশুচিকিৎসককে ডেকে আনেন। এরপর ওই পশু চিকিৎসকের পরামর্শে বাচ্চাটিকে ন্যানিং চিড়িয়াখানার সাপের চিকিৎসকদের হাতে তুলে দেন।
ন্যানিং চিড়িয়াখানার বিশেষজ্ঞরা আজ বৃহস্পতিবার পিপলস ডেইলিকে জানিয়েছেন, চীনা গোখরা শ্রেণীর এই সদ্যজাত বিষাক্ত সরীসৃপটির বয়স মাত্র ১৫ দিন। সাপটির গায়ের রং গাঢ় খয়েরি। এটি প্রায় ২০ সেন্টিমিটার লম্বা এবং ওজন প্রায় ৫০ গ্রাম। যা এই বয়সের একটি স্বাভাবিক গোখরার চেয়ে প্রায় ৫০ গ্রাম কম।
সাপটির দুটি মাথায় সম্পূর্ণ পৃথক দুটি মস্তিষ্ক রয়েছে। এ জন্য দুটো মাথাই একেবারে স্বাধীনভাবে নাড়াতে পারে কোবরাটি। কখনো কখনো নিজের দুই মাথায় ঠোকরও খায়। দেখে মনে হয় দুটি মাথা একে অপরের সঙ্গে লড়াই করছে।
তবে চিড়িয়াখানার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গোখরা শরীরটাকে যে রকম ‘এস’ এর মতো আকার নিয়ে চলাফেরা করে, তাতে দুটি মাথায় ঠোক্কর খাওয়াটাই স্বাভাবিক।
চিকিৎসকরা আরো জানান, সাপটির দেহে দুটো মাথা থাকলেও খাদ্য হজম করার জন্য পাকস্থলী একটি। এ ছাড়া দুটি মাথাতে থাকা মুখের সাথে খাদ্যগ্রহণের জন্য পরিপাকনালীর সংযোগ নেই। ফলে খাদ্যগ্রহণ করতে পারছে না সাপের ছানাটি। আপাতত বিকল্প ব্যবস্থায় ছানাটির শরীরে পুষ্টি সরবরাহ করছেন চিকিৎসকরা।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, অদ্ভুত এই সাপের ছানাটিকে আজ সাংহাই চিড়িয়াখানায় পাঠানো হবে। সেখানে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সাপটির পরিপাক নালীর সাথে পাকস্থলীর সংযোগ ঘটনোর চেষ্টা করবেন চিকিৎসকরা।