চীনে বিস্ফোরণ : আশপাশের এলাকা ছাড়ার নির্দেশ
চীনের তিয়ানজিন শহরের বিস্ফোরণের ঘটনায় রাসায়নিক দূষণের আশঙ্কা করছে সরকার। এই কারণে বিস্ফোরণস্থলকে কেন্দ্র করে পার্শ্ববর্তী তিন কিলোমিটার ব্যাসার্ধের এলাকা থেকে সব অধিবাসীকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর আজ শনিবারও বিস্ফোরণস্থলে নতুন করে বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে এবং ধোঁয়াও উড়তে দেখা গেছে।
চীনের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সিনহুয়ার বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ পরিবেশে ছড়িয়ে পড়ায় চারপাশের এলাকা খালি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাসায়নিক যুদ্ধের জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সেনারা বিস্ফোরণস্থলে পৌঁছেছেন।
সিএনএন জানিয়েছে, আজ সকালে নতুন করে বিস্ফোরণের কথা জানা গেছে। তবে এটি কতটা ভয়াবহ তা জানা যায়নি। আর বিস্ফোরণস্থল থেকে এখনো ধোঁয়া উড়তে দেখা গেছে। জানা গেছে, বিস্ফোররিত রাসায়নিক গুদামটিতে এখনো ধিকিধিকি আগুন জ্বলছে।
তিয়ানজিন শহরেরর রাসায়নিক গুদাম বিস্ফোরণের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৫ জন। আহতদের মধ্যে ২৫ জনের অবস্থা এখনো আশঙ্কাজনক। তাই নিহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। স্থানীয় কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন। বিস্ফোরণে নিহতদের মধ্যে ২১ জনই ফায়ার সার্ভিসকর্মী। আর ওই ঘটনায় ৭২১ জন আহত হয়েছেন।
নিরাপত্তা আইন লঙ্ঘন করে রাসায়নিক গুদামঘর পরিচালনার জন্য এর মালিকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। সরকার সারা দেশে বিপজ্জনক রাসায়নিক ও বিস্ফোরকদ্রব্য কোথায় কোথায় রয়েছে তা তল্লাশির নির্দেশ দিয়েছে। আর চীনের মন্ত্রিসভা জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিতে অবৈধ কর্মকাণ্ড বন্ধে কর্মকর্তাদের কঠোর অভিযান চালানোর নির্দেশ দিয়েছে।
অগ্নিকাণ্ডের কারণ জানতে রাসায়নিক বিশেষজ্ঞরা বিষাক্ত গ্যাস পরীক্ষা করছেন। দুই শতাধিক রাসায়নিক ও জীব বিজ্ঞানী এখানে কাজ করছেন। কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন, গুদাম ঘরটিতে ক্যালসিয়াম কার্বাইড, পটাসিয়াম নাইট্রেট ও সোডিয়াম নাইট্রেট ছিল। কিন্তু পিপলস ডেইলির প্রতিবেদনে বলা হয়, তিয়ানজিনের গুদামঘরে ৭০০ টন সায়ানাইড ছিল। অ্যামোনিয়াম নাইট্রেটও থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।