ফেসবুকে খবর পড়ার প্রবণতা বাড়ছে
এখনো বিশ্বে সবচেয়ে বেশিবার ভিজিট করা সাইটের নাম গুগল। কিন্তু খবর পড়ার বিষয় যখন আসে, তখন গুগলের চেয়ে দিন দিন বাড়ছে ফেসবুকের কদর। অর্থাৎ গুগল থেকে নয়, ফেসবুক থেকেই খবর পড়েন বেশির ভাগ পাঠক। অ্যানালিটিকস প্রতিষ্ঠান পার্স লি তাদের এক পরিসংখ্যানে এ খবর জানিয়েছে। পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট ম্যাশেবল।
পার্স লি-এর পরিসংখ্যান মতে, গণমাধ্যমগুলোর ওয়েবসাইটে ৪৩% পাঠক আসেন ফেসবুক থেকে খবরের লিংক পেয়ে। প্রায় ৪০০ মিডিয়া হাউসের অ্যানালিটিকস ঘেঁটে এ তথ্য প্রকাশ করেছে পার্স লি। এসব মিডিয়া হাউসের মধ্যে রয়েছে তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট ম্যাশেবল, রয়টার্স এবং দি আটলান্টিক।
অন্যদিকে গুগল হয়ে খবর পড়তে আসে ৩৮% পাঠক। তবে এতে ফেসবুকের কারণে গুগলের শীর্ষস্থানে তেমন ব্যত্যয় ঘটেনি। কারণ এখনো রেফারেল সাইট হিসেবে শীর্ষে রয়েছে গুগল। অর্থাৎ গুগল হয়ে অন্যান্য সাইটে যান পাঠকরা।
এতদিন রেফারেল সাইট হিসেবে গুগলের একচ্ছত্র আধিপত্য থাকলেও গত ১৮ মাসে রেফারেল সাইট হিসেবে বেশ উন্নতি করেছে ফেসবুক। ২০১৪ সালের জানুয়ারিতে ফেসবুক থেকে নিউজ সাইটগুলোতে ট্র্যাফিক যেত মাত্র ২০%। গত ১৮ মাসে এর পরিমাণ প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে।
তবে রেফারেল সাইট হিসেবে ফেসবুকের এই উন্নতি আচমকা হয়নি। কনটেন্ট ডিস্ট্রিবিউশন প্ল্যাটফর্ম হিসেবে নিজেদের গ্রহণযোগ্যতা দিনদিন বাড়িয়ে চলছে ফেসবুক। সারা বিশ্বে এখন ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা ২০০ কোটির কাছাকাছি।
পৃথিবীর প্রতিটি মানুষের জন্য ব্যক্তিগত সংবাদপত্র তৈরির ঘোষণা দিয়েছিলেন ফেসবুকের সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গ। নিউজ সাইটের রেফারেল সাইট হিসেবে ফেসবুকের এই উন্নতিকে তার লক্ষ্য পূরণের লক্ষণ হিসেবেই দেখছেন প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা।
গত মে মাসে ‘ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেলস’ নামে নতুন একটি সেবা চালু করে ফেসুবক। যাতে ব্যবহারকারীদের পছন্দসই সংবাদপত্রের খবর তাৎক্ষণিকভাবে নিউজ ফিডে দেখতে পাবেন। ফেসবুকের এই সেবার মধ্যে রয়েছে নিউইয়র্ক টাইমস, এনবিসি, বাজফিড, বিবিসি নিউজ এবং দ্য গার্ডিয়ানের খবর। ফেসবুক অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে এসব সংবাদমাধ্যমের খবর ব্যবহারকারীদের নিউজফিডে বেশি দেখানো হয়।