দক্ষিণ কোরিয়ায় নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দলের নিরঙ্কুশ জয়
করোনার প্রাদুর্ভাবের মধ্যেই আয়োজিত দক্ষিণ কোরিয়ার পার্লামেন্ট নির্বাচনে ক্ষমতাসীন বামপন্থী দল নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জন করেছে।
এরই মধ্যে ভোট গণনা প্রায় শেষ হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দিন শেষে পূর্ণাঙ্গ ফলাফল ঘোষণা করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। আংশিক ফলাফল থেকে এ কথা জানা গেছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
বৈশ্বিক মহামারি করোনা আতঙ্কের মধ্যেই গতকাল বুধবার জাতীয় এ নির্বাচনের আয়োজন করা হয়।
চীনের বাইরে প্রথম করোনা ছড়িয়ে পড়ে দক্ষিণ কোরিয়ায়। প্রথমদিকে করোনা খুব দ্রুত দেশটিতে ছড়িয়ে পড়লেও, এখন তারা এর নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছে। পরীক্ষা বাড়িয়ে দিয়ে রোগী শনাক্তকরণ, কোয়ারেন্টিনের মতো ব্যবস্থা এবং বাইরে থেকে যারা আসছেন তাঁদের সঙ্গনিরোধ বাধ্যতামূলক করার মাধ্যমে তারা করোনার বিস্তার ঠেকাতে পেরেছে। এর প্রভাব পড়েছে নির্বাচনে।
ক্ষমতাসীন দল ডেমোক্রেটিক পার্টি পার্লামেন্টে গত ১২ বছরের মধ্যে এ প্রথম নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে। করোনা আতঙ্কের মধ্যেও ভোটার উপস্থিতি ছিল ৬৬ দশমিক ২ শতাংশ যা ১৯৯২ সালের পর সর্বাধিক।
যদিও মাত্র কয়েক মাস আগে ক্ষমতার অপব্যবহার নিয়ে কেলেঙ্কারি ও অথনৈতিক প্রবৃদ্ধির মন্থর গতির কারণে মুন জায়ে ইন সমালোচিত হচ্ছিলেন এবং তাঁর জনপ্রিয়তা কমে গিয়েছিল। কিন্তু করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সফলতার কারণে মুনের জনপ্রিয়তা বেড়ে যায়। গত সপ্তাহে তাঁর পক্ষে জনপ্রিয়তার হার ৪১ থেকে বেড়ে ৫৭ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
পার্লামেন্টে ডেমোক্রেটিক পার্টি ৩০০ আসনের মধ্যে ১৬৩টি আসন পেয়েছে। এর শরীক দল ১৭টি আসন পেয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আজ বৃহস্পতিবার দিনের শেষে ১৮০টি আসনে জয়লাভের কথা ঘোষণা হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিকে গতকালের এ নির্বাচনে সুরক্ষা পোশাক এবং পরীক্ষার পরই কেবল ভোটারদের বুথে ঢুকতে দেওয়া হয়েছিল। তাপমাত্রা মাপার পর যাঁদের শরীরে জ্বরের উপস্থিতি পাওয়া গেছে, তাঁরা আলাদা বুথে ভোট দিয়েছেন। কোয়ারেন্টিনে যাঁরা রয়েছেন, তাঁদের জন্যও বিশেষ বুথের ব্যবস্থা করা হয়েছিল।
উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর বিশ্বে দক্ষিণ কোরিয়াই প্রথম দেশ যারা নির্বাচনের আয়োজনের সাহস দেখিয়েছে।