শাবিতে শিক্ষকদের কর্মবিরতি, প্রতিবাদ সমাবেশ
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবি) শিক্ষকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে ও উপাচার্য আমিনুল হক ভূঁইয়ার পদত্যাগের দাবিতে তিন ঘণ্টা কর্মবিরতি, কালো ব্যাজ ধারণ ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন শিক্ষকদের একাংশ।
আজ সোমবার সকাল ৯টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত কর্মবিরতি পালন করেন ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ শিক্ষক পরিষদ’-এর শিক্ষকরা। এ সময় তাঁরা ক্লাস না নিলেও পরীক্ষা নিয়েছেন। তবে ভিসির পক্ষের শিক্ষকরা যথারীতি ক্লাস-পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন।
ড. জাফর ইকবাল বলেন, ছাত্রলীগকে দিয়ে হামলার ঘটনা করানো হয়েছে। তবে কারা করিয়েছে, কেন করিয়েছে তা খতিয়ে দেখা দরকার।
কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল বলেন, ‘আমাদের যে শিক্ষকরা আন্দোলন করছেন, তাতে শারীরিকভাবে অংশগ্রহণ করি না আমি, মানসিকভাবে করলেও। আজকে আমি এসেছি, কারণ এমন একটা ব্যাপার ঘটেছে কালকে। সে জন্য ওদের সঙ্গে সহমর্মিতা প্রকাশের জন্য এসেছি। আমরা কালো ব্যাজ ধারণ করেছি।’
জাফর ইকবাল বলেন, ‘আমি যেটা বলতে চাই, আমরা তো ব্যথা পাই; পড়ে যাই, হাত ভেঙে যাই, দুর্ঘটনায় ব্যথা পাই। কাজেই কালকে যে ঘটনা ঘটেছে- শিক্ষকদের গায়ে হাত তুলেছে, তারা ব্যথা পেয়েছে অনেক। কিন্তু শরীরের ব্যথাটা কিন্তু আসল ব্যথা না। আসল ব্যথা হচ্ছে মনের ব্যথা। আমি এই ছাত্রদের পড়িয়েছি সে ছাত্র আমার গায়ে হাত তুলেছে। কষ্ট তো থাকেই, কষ্ট কোনোদিন যাবে না আসলে। কিন্তু কথা হচ্ছে ওরা কেন করল এটা, ওরা কি নিজেরা করেছে? ওরা নিজেরা করেনি। ওদের দিয়ে করানো হয়েছে। কারা করিয়েছে, কেন করিয়েছে? এই প্রশ্নটা কারো কাছে করতে পারছি না। কাকে করব? প্রশ্নের উত্তর তো কেউ দেবে না।’
বেলা পৌনে ১১টায় আন্দোলনরত শিক্ষকরা কালো ব্যাজ ধারণ করে টিচার্স ক্যান্টিন থেকে র্যালি বের করেন। র্যালিটি ভিসি ভবনের সামনে গিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশে মিলিত হয়।
সমাবেশে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ শিক্ষক পরিষদের আহ্বায়ক অধ্যাপক সৈয়দ সামসুল আলমের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. ইয়াসমীন হক, মো. ইউনুছ, দীপেন দেবনাথ, মো. ফারুক উদ্দিন, মোস্তফা কামাল মাসুদ, মোহাম্মদ ওমর ফারুকসহ অন্য শিক্ষকরা।
সমাবেশে শিক্ষকরা শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে দ্রুতই অভিযুক্ত উপাচার্যকে সরিয়ে নেওয়ার দাবি জানান। এ সময় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের বিবৃতির পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষকরা বলেন, গতকালকের হামলায় ছাত্রলীগ অংশ নিয়েছিল। তারা ছাত্রলীগ নামধারী সন্ত্রাসী।