শাহাদাত ও তাঁর স্ত্রীকে খুঁজে পাচ্ছে না পুলিশ!
নারী ও শিশু নির্যাতনের মামলায় জাতীয় দলের ক্রিকেটার শাহাদাত হোসেন ও তাঁর স্ত্রীকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। তবে তাঁদের ‘খুঁজে পাওয়া যায়নি’।
পুলিশ জানিয়েছে, শাহাদাতের মিরপুরের বাসা এবং যেসব স্থানে তিনি যাতায়াত করেন সবখানেই অভিযান চালানো হয়েছে। তাঁদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত থাকবে।
মিরপুর মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মো. শফিকুর রহমান এনটিভি অনলাইনকে বলেন, মামলার পর পরই শাহাদাতের মিরপুরের বাসায় অভিযান চলেছে। তবে শাহাদাত বা তাঁর স্ত্রীকে পাওয়া যায়নি। পরে শাহাদাত চলাফেলা করে মিরপুরের শেরেবাংলা নগর জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম সংলগ্ন কয়েকটি স্থানে অভিযান চালায় পুলিশ। এসব স্থানেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।
শফিকুর রহমান আরো বলেন, অভিযান অব্যাহত আছে এবং সাদা পোশাকে পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অবস্থান করছে। শাহাদাত ও তাঁর স্ত্রীকে গ্রেপ্তার না করা পর্যন্ত এমন অভিযান চলবে।
গতকাল রোববার সন্ধ্যায় মিরপুরের ১১ নং সেকশনের কালসী রোড সংলগ্ন সাংবাদিক প্লটের গেট থেকে মাহফুজা আক্তার হ্যাপি নামের ১১ বছর বয়সী এক মেয়েশিশুকে উদ্ধার করে স্থানীয় বাসিন্দারা। শিশুটির গায়ে একাধিক আঘাতের চিহ্ন ও চোখ ফোলা ছিল। শিশুটির অভিযোগ, সে জাতীয় দলের ক্রিকেটার শাহাদাত হোসেনের বাসায় গৃহকর্মী ছিল। শাহাদাত ও তাঁর পরিবারের লোকজন তার ওপর নির্যাতন করেছে। হ্যাপি জানায়, নির্যাতনের কারণে সে ওই বাসা থেকে পালিয়েছে।
মিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, হ্যাপি নামের শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো হয়েছে।
জাতীয় দলের ক্রিকেটার শাহাদাত হোসেন ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে গৃহকর্মী নির্যাতনের অভিযোগে রোববার দিবাগত রাতে মিরপুর মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়েছে। খন্দকার মোজাম্মেল হক নামের মিরপুরের এক বাসিন্দা এই মামলার বাদী হয়েছেন।
গতকাল রাতেই মিরপুর বিভাগ পুলিশের উপকমিশনার কাইয়ুমুজ্জামান খান এনটিভি অনলাইনকে জানান, মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করা হয়েছে।