রাঙামাটিতে উপসর্গ নিয়ে মৃত দুজনের কোভিড-১৯ পজিটিভ ছিল
গত ৩১ মে রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলায় উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া যুবক এবং ৬ জুন রাঙামাটি শহরের ভেদভেদীতে উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া প্রবীণের কোভিড-১৯ পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে আজ সোমবার।
সকালে চট্টগ্রাম বিআইডিআইটি থেকে আসা জেলার আরো নতুন সাতজনের পজিটিভ রিপোর্টে এই দুজনের নামও আছে বলে নিশ্চিত করেছেন রাঙামাটি সিভিল সার্জন অফিসের করোনা বিষয়ক ফোকালপারসন ডা. মোস্তফা কামাল। এ নিয়ে জেলায় মোট শনাক্ত হলো ৭৮ জন।
জেলায় প্রথম করোনায় এই দুইজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে রাঙামাটি সিভিল সার্জন অফিসের করোনাবিষয়ক ফোকালপারসন ডা. মোস্তফা কামাল জানান, সোমবার আসা রিপোর্ট অনুসারে আক্রান্তদের মধ্যে রেস্টহার্ট ও শালবাগান পুলিশ ক্যাম্পের দুই পুলিশ সদস্য,কাউখালীতে এক নারী স্বাস্থ্যকর্মী, কাপ্তাইয়ে উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া যুবক ও গ্রামীণ ব্যাংকে কর্মরত আরেক যুবক, রাঙামাটি শহরের ভেদভেদী এলাকার করোনা উপসর্গ নিয়ে শনিবার মারা যাওয়া প্রবীণ ব্যক্তি ও তবলছড়ি নীচের বাজারের এক নারী রয়েছেন।
গত ৬ মে জেলায় প্রথম করোনা শনাক্ত হওয়ার পর উপসর্গ নিয়ে গত এক মাসে পাঁচজনের মৃত্যু হলেও এ প্রথম মারা যাওয়া কারো রিপোর্ট পজিটিভ এলো,তাও একই দিনে দুজনের।
এদের মধ্যে একজন শহরের ভেদভেদী এলাকার ৭০ বছর বয়সী প্রবীণ। তাঁর ছেলের দোকান কর্মচারীর করোনা পজিটিভ আসার পর গত ৩ জুন তাঁর নমুনা সংগ্রহ করা হয়। কিন্তু রিপোর্ট আসার আগেই ৬ জুন মারা যান তিনি। তাঁর পরিবারকে নমুনা নেওয়ার পর থেকেই কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছিল।
অন্যদিকে কাপ্তাইয়ে উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া ব্যক্তি ছিলেন থুইঅং প্রু মারমা (২৬)। তিনি চট্টগ্রামের রয়েল হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স ছিলেন। এ স্বাস্থ্যকর্মী চট্টগ্রামে করোনা সংক্রমিত হন বলে জানা যায়। পরে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে ছুটি নিয়ে বাড়িতে চলে আসেন এবং গত ৩১ মে সেখানেই মারা যান।
করোনা উপসর্গ থাকায় স্বাস্থ্যবিধি মনেই দুই ব্যক্তির দাফন ও সৎকার করা হয়েছিল বলে নিশ্চিত করেছেন সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ও করোনাবিষয়ক ফোকালপারসন ডা. মোস্তফা কামাল।
রাঙামাটি জেলায় ১০টি উপজেলার মধ্যে নয়টিতেই করোনা শনাক্ত হয়েছে। এখন পর্যন্ত করোনা শনাক্ত হয়নি ভারতের মিজোরাম সীমান্তবর্তী বরকল উপজেলায়। সর্বশেষ গতকাল রোববার প্রথমবারের মতো একজনের করোনা শনাক্ত হয়েছে আয়তনে দেশের সবচেয়ে বড় উপজেলা বাঘাইছড়িতে।