মঙ্গলের পথে আমিরাতের মহাকাশযান, নেতৃত্বে সারাহ আল-আমিরি
সংযুক্ত আরব আমিরাতের মহাকাশযান মঙ্গলগ্রহের পথে যাত্রা করেছে। জাপানের সবচেয়ে বড় রকেটবন্দর তানেগাশিমা থেকে উড্ডয়ন করে আমিরাতের স্যাটেলাইট ‘হোপ মিশন’। মহাকাশযানটির ওজন ১ দশমিক ৩ টন। প্রায় ৫০০ মিলিয়ন কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে এ রোবটিক মহাকাশযানটি ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে গন্তব্যে পৌঁছাবে। ওই একই সময়ে সংযুক্ত আরব আমিরাত তার ৫০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করার কথা রয়েছে। আবহাওয়া খারাপ থাকায় এর আগে দুবার মহাকাশযানটির উৎক্ষেপণের সময় পেছাতে হয়। সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের মঙ্গল অভিযান সফল হলে তাদের নাম যুক্ত হবে বিশ্বের হাতেগোনা কয়েকটি দেশের তালিকায়। এ তালিকায় আছে যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, ইউরোপ আর ভারতের মতো গুটিকয়েক দেশ, যারা মঙ্গলগ্রহে সফল মহাকাশ অভিযান করতে পেরেছে।
মঙ্গলগ্রহে একসময় পানি ছিল বলে ধারণা করা হয়। সে গ্রহ কীভাবে আজকের ধূলিধূসর নিষ্প্রাণ লাল গ্রহে পরিণত হলো, সেটি জানার জন্য বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধান চালানো হবে হোপ মিশনের লক্ষ্য। যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞানীদের তত্ত্বাবধানে আরব আমিরাতের বিজ্ঞানীরা সাড়ে ছয় বছর ধরে এটি নিয়ে কাজ করছেন।
আরো অনেক উপসাগরীয় দেশের মতোই সংযুক্ত আরব আমিরাতও এখন তেলের ওপর নির্ভরতা কমাতে চাইছে। তাদের লক্ষ্য একটি ভবিষ্যৎমুখী জ্ঞাননির্ভর অর্থনীতি গড়ে তোলা। এ মহাকাশ প্রকল্প সে লক্ষ্যেই নেওয়া। সংযুক্ত আরব আমিরাতের মতো একটি ক্ষুদ্র উপসাগরীয় দেশের জন্য এ হবে এক অভাবনীয় সাফল্য। আর এ সাফল্যের পেছনের রূপকার এক নারী। তাঁর নাম সারাহ আল-আমিরি।
কে এই সারাহ আল-আমিরি?
মঙ্গল অভিযানে সংযুক্ত আরব আমিরাতের নাম শুনে যেমন সবাই অবাক, তার চেয়েও অবাক করা ঘটনা একটি আরব দেশে একজন নারীর এ রকম একটি মহাকাশ অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়ার ঘটনা।
সারাহ আল-আমিরি ‘হোপ মিশনের’ বৈজ্ঞানিক দলের প্রধান। একই সঙ্গে তিনি দেশটির অ্যাডভান্সড সায়েন্সবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী। এই নবীন বিজ্ঞানী এরই মধ্যে আরব বিশ্বের নারীদের জন্য এক বড় অনুপ্রেরণা হয়ে উঠেছেন। ‘হোপ মিশন’ পৃথিবী ছেড়ে যখন রওনা হয়েছে মঙ্গল অভিমুখে, তখন একই সঙ্গে সবার নজর সারাহ আল-আমিরির দিকেও।