ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে ৬ পুলিশ সদস্য প্রত্যাহার
ঠাকুরগাঁওয়ে অবৈধভাবে অভিযান চালিয়ে নিবন্ধনহীন মোটরসাইকেল আটক করে উৎকোচ আদায়ের অভিযোগে ছয় পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। ঠাকুরগাঁওয়ের পুলিশ সুপার ফারহাত আহমেদের আদেশে আজ শুক্রবার দুপুরে তাঁদের পীরগঞ্জ থানা থেকে পুলিশ লাইনে আনা হয়েছে। এ ঘটনা তদন্তের জন্য সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) আবুল কালাম আজাদকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
প্রত্যাহার হওয়া পুলিশ সদস্যরা হলেন জেলার পীরগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নুরু আলম ও মামুন, কনস্টেবল জলিল, মনোরঞ্জন, মোস্তফা ও সোহাগ।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ঠাকুরগাঁওয়ের পুলিশ সুপার ফারহাত আহমেদ আজ সন্ধ্যায় বলেন, তদন্ত প্রতিবেদন পেলে ছয় পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পীরগঞ্জ থানার এসআই নুরু আলম, এসআই মামুনসহ ওই ছয় পুলিশ সদস্য নিয়ম বহির্ভূতভাবে রানীশংকৈল উপজেলার গোগর নামে একটি এলাকায় গিয়ে রেজিস্ট্রেশনহীন মোটরসাইকেল আটক করে। এ সময় তাঁরা উৎকোচের বিনিময়ে মোটরসাইকেল ছেড়ে দেন। এসব আচরণ দেখে স্থানীয় বাসিন্দাদের মনে প্রশ্ন দেখা দিলে তাঁরা প্রতিবাদ করেন। বিষয়টি বুঝতে পেরে স্থানীয় জনতা ওই ছয় পুলিশ সদস্যকে আটক করে রাখেন।
রানীশংকৈল থানার পুলিশ এ খবর জানার পর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকুমার মোহন্ত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। এ সময় তিনি পীরগঞ্জ থানাতেও খবর দেন। এরপর পীরগঞ্জ থানার ওসি কে এম শওকত হোসেন পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে আসেন। তিনি জানান, আটক ব্যক্তিরা তাঁদের থানার পুলিশ সদস্য।
এরপর রানীশংকৈল উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান মাহফুজা বেগম পুতুল, ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবুল কালাম, পীরগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন, স্থানীয় ইউপি সদস্য এবং এএসপি সার্কেল ও দুই থানার পুলিশ কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে সালিস বৈঠক বসে। আলোচনা শেষে পুলিশ সদস্যদের ছেড়ে দেওয়া হয়।