সাগরে ঝড়ের কবলে ট্রলারডুবি, ১৫ জেলে নিখোঁজ
লঘুচাপের প্রভাবে সামুদ্রিক ঝড়ের কবলে পড়ে বেশ কয়েকটি ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় অন্তত ১৫ জেলে নিখোঁজ আছেব বলে দাবি করেছেন জেলেরা। গতকাল শনিবার রাত থেকে আজ রোববার দুপুর এসব ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটে।
বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী আজ সংবাদিকদের এ তথ্য জানান। তিনি জানান, এ পর্যন্ত যেসব ট্রলার ডুবে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে তার মধ্যে এফবি সোনাই, এফবি বাবুল, এফভি সোহাগ, এফবি মায়ের দোয়া, এফবি খানজাহান আলী এবং এফবি মহারাজের নাম জানা গেছে।
গোলাম মোস্তফা চৌধুরী আরং জানান, ডুবে যাওয়া ট্রলারের বেশির ভাগ জেলে অন্য ট্রলারে উঠতে সক্ষম হলেও পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়া উপজেলার এফবি মহারাজ ট্রলারের ১১ জেলে, এফবি আবদুল্লাহর একজন এবং আরো দুটি ট্রলারের তিন জেলেসহ মোট ১৫ জনের এখন পর্যন্ত কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।
সুন্দরবন সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরের কচিখালি, নারকেলবাড়িয়া, কটকা, ডিমের চর, সাতবাম এলাকায় এসব ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া আরো অর্ধ শতাধিক ট্রলারের সঙ্গে মালিকপক্ষ কোনো যোগাযোগ করতে পারছে না বলেও জানান জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি।
ঝড়ের কবলে পড়ে ডুবে যাওয়া একটি ট্রলারের জেলে আনোয়ার হোসেন (৪৭) জানান, শনিবার রাত থেকেই সাগর বেশ ক্ষানিকটা উত্তাল ছিল। এ সময় তাঁরা নারকেলবাড়িয়া এলাকায় জাল ফেলে অপেক্ষায় ছিলেন। একই এলাকায় আরো অর্ধ শতাধিক ট্রলারও জাল ফেলে অপেক্ষায় ছিল। ভোররাতের দিকে আকস্মিকভাবে সাগরে ঝড়ের সৃষ্টি হয়। এতে ঢেউ ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করে।
একপর্যায়ে ঢেউয়ে তাদের ট্রলারটি ডুবে যায়। তখন অনেক জেলে ঘণ্টাব্যাপী উত্তাল সাগরে ভেসে থাকার চেষ্টা করেন। পরে এফবি আল্লাহর দান এবং এফবি মায়ের দোয়াসহ বেশ কয়েকটি ট্রলার শতাধিক ভাসমান জেলেকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে বলে জানান আনোয়ার হোসেন।