পিরোজপুরে অতিবৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে শতাধিক গ্রাম প্লাবিত
অতিবৃষ্টি আর অমাবস্যার জোয়ারের পানির চাপে পিরোজপুরের নদী-তীরবর্তী শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এর ফলে মারাত্মক ভোগান্তিতে পড়েছে কচা, বলেশ্বর, সন্ধ্যা, কালীগঙ্গা, মধুমতী ও পোনা নদীপাড়ের গ্রামগুলোর হাজারো মানুষ।
মূলত পিরোজপুরের সাত উপজেলা নদী দিয়ে বিচ্ছিন্ন হওয়ায় সব উপজেলাই বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে। এতে পাকা ধান, রোপণকৃত ধানের চারা, সবজি ক্ষেত ও শত শত মাছের ঘের প্লাবিত হয়েছে। এ ছাড়া বৃষ্টির কারণে কর্মহীন পড়েছে শ্রমজীবী মানুষ। তবে জোয়ারের সময় নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে গ্রামগুলো প্লাবিত হলেও ভাটার সময় তা কমে যায়।
স্থানীয়রা জানান, গত কয়েক বছরে তাঁরা পানির এত চাপ দেখেননি। তিন দিন ধরে বিপৎসীমার ১২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। তবে মঠবাড়িয়া, ভাণ্ডারিয়া, কাউখালী, ইন্দুরকানী ও পিরোজপুর সদর বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কয়েক দিনের টানা বৃষ্টি আর জোয়ারের পানিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শত শত ঘেরের মাছ, সবজি ক্ষেত, রাস্তাঘাট ও কাঁচা ঘরবাড়ি।
পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক আবু আলী মোহাম্মাদ সাজ্জাদ হোসেন জানান, প্লাবিত গ্রামগুলোর অসহায় মানুষকে সার্বিক সহযোগিতার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) নির্দেশ দেওয়া হবে। এ ছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের তালিকা তৈরি করার জন্য সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যানদের বলা হয়েছে।