‘ঝাঁজ’ বাড়াচ্ছে পেঁয়াজ
আবারও বাড়ছে পেঁয়াজের দাম। বাজারে সরবরাহ থাকার পরও লাগামহীন হয়ে যাচ্ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় এই পণ্য।
রাজধানীর খুচরা বাজারে আজ সোমবার প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ সর্বোচ্চ ৭০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া পাইকারি পর্যায়ে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪৮ থেকে ৫০ টাকা। এ ছাড়া বেড়েছে আমদানি করা পেঁয়াজের দামও। গত সপ্তাহে ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া ভারতীয় পেঁয়াজ আজ বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকা দরে।
তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, বৃষ্টির অজুহাতে ভারতের ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজের রপ্তানি কমিয়ে দেওয়ায় বেড়েছে এই পণ্যের দাম।
গত বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর ভারত হঠাৎ পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেওয়ায় দেশের বাজারে দেখা দেয় অস্থিরতা। তখন ক্ষেত্রবিশেষে রাজধানীতে খুচরা বাজারে কেজিপ্রতি পেঁয়াজ ৩০০ থেকে সাড়ে ৩০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়। এ বছর আবারও একই সময়ে বাড়তে শুরু করেছে দেশের পেঁয়াজের বাজার।
কারওয়ান বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা হালিম খান বলেন, ‘বন্যার কারণে পেঁয়াজের দাম বাড়ছে। তবে অনেক ব্যবসায়ী গত বছরের অভিজ্ঞতা থেকে প্রয়োজনের চেয়ে অনেক বেশি পরিমাণে পেঁয়াজ মজুদ করে রাখছেন, তাই পেঁয়াজের দাম বাড়ছে।’
যাত্রাবাড়ীতে নায়না আক্তার নামের এক ক্রেতা বলেন, গত সপ্তাহেও পেঁয়াজের দাম কম ছিল। কিন্তু এ সপ্তাহে আবার পেঁয়াজের দাম বাড়তে শুরু করেছে। তিনি বলেন, ‘গত বছর পেঁয়াজ দামের কারণে এ বছর বেশি পরিমাণে পেঁয়াজ কিনতে এসেছি। কিন্তু এসে দেখছি অল রেডি বেড়ে গেছে।’
নায়না আরো বলেন, ‘যদি সরকার এখনই অভিযান না চালায়, তাহলে আবার সাধারণ জনগণের হাতের বাইরে চলে যাবে এই পেঁয়াজের দাম।’
এদিকে আজ পেঁয়াজ মজুদকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, দেশে পর্যাপ্ত পেঁয়াজ মজুদ রয়েছে। আমদানি স্বাভাবিক রয়েছে। পেঁয়াজের সংকট বা মূল্যবৃদ্ধির কোনো সংগত কারণ নেই। পেঁয়াজের অবৈধ মজুদ বা কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির মাধ্যমে মূল্যবৃদ্ধির চেষ্টা করা হলে সরকার আইন অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।