অমরত্ব পেতে রুশ বিজ্ঞানীর প্রচেষ্টা!
মানুষের জীবনে অমরত্ব আর খুব বেশি দূরে নয়! এমনই দাবি করেছেন রাশিয়ার এক গবেষক। আনাতলি ব্রোচকভ নামের এই গবেষক অমরত্ব নিয়ে গবেষণায় নিজের শরীরেই ঢুকয়ে দিয়েছেন ৩৫ লাখ বছরের পুরনো ব্যাকটেরিয়া। ‘বেসিলাস এফ’ নামক ব্যাকটেরিয়া শরীরে নিয়ে কয়েকবছর ধরেই নিরোগ জীবনযাপন করছেন এই বিজ্ঞানী।
মস্কো স্টেট ইউনিভার্সিটির জিওক্রায়োলজি (হিমশীল ঠান্ডায় জমাট বাঁধা পরিবেশ বিষয়ক গবেষণা) বিভাগের প্রধান আনাতলি ব্রোচকভ। পাঞ্চাশোর্ধ এই গবেষকের দাবি, সাইবেরিয়ায় পাওয়া ৩৫ লাখ বছরের পুরনো ব্যাকটেরিয়া শরীরে ঢুকিয়ে দেওয়ার পর তিনি বাড়তি শক্তি পাচ্ছেন। তিনি মনে করেন, পুরনো এই ব্যাকটেরিয়ার ডিএনএ (বংশগতির ধারক) ও জিনে (নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট ধারণকারী) মানুষের বয়স বেড়ে যাওয়ার রোধের কোনো প্রতিষেধক আছে।
আনাতলি ব্রোচকভ বলেন, ৩৫ লাখ বছরের পুরনো ব্যাকটেরিয়া শরীরে ঢোকানোর পর গত দুই বছরে তিনি একবারও ভাইরাসঘটিত জ্বরে আক্রান্ত হননি। তবে এটির অমরত্ব দেওয়া নিয়ে আরো গবেষণা প্রয়োজন বলে স্বীকার করেন এই গবেষক। তাঁর মতে, গবেষণা করে দেখতে হবে পুরনো এই ব্যাকটেরিয়া কীভাবে শরীরের মধ্যে কাজ করে। আর এই ব্যাকটেরিয়াই বা কীভাবে ৩৫ লাখ বছর টিকে থাকে তা নিয়েও গবেষণা প্রয়োজন। এসব গবেষণা থেকে বিজ্ঞানীরা মানুষের অমর হওয়ার পথ খুঁজেও পেতে পারেন।
২০০৯ সালে সাইবেরিয়ার পাওয়া যায় ‘বেসিলাস এফ’ ব্যাকটেরিয়া। ৩৫ লাখ বছরের পুরনো সজীব এই ব্যাকটেরিয়া সারা বিশ্বেই গবেষকদের মধ্যে আগ্রহের সৃষ্টি করে। আর এই ব্যাকটেরিয়া যে সত্যিই আয়ুর ওপর প্রভাব ফেলে তা অনেক গবেষণায়ই প্রমাণিত হয়েছে। রাশিয়ারই অপর গবেষক সার্গেই পেত্রভ মাছির ওপর গবেষণায় আয়ু বৃদ্ধিতে এই ব্যাকটেরিয়ার প্রভাব দেখেছেন। তবে মানুষের ওপর গবেষণার চালানো হয়নি। তবে এখন আনাতলি ব্রোচকভ নিজেই শরীরের গবেষণার সুযোগ করে দিয়েছেন।