পোস্টাল ভোট নিয়ে ট্রাম্পের অভিযোগ
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের শেষ মুহূর্তের প্রচারে এক সমাবেশে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পোস্টাল ভোটে কারচুপির আশঙ্কা করেছেন।
আমেরিকায় কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিভেদপূর্ণ নির্বাচনের ভোট চলছে। প্রথম ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে ভারমন্টে, স্থানীয় সময় মঙ্গলবার ভোর ৫টা নাগাদ (বাংলাদেশ সময় বিকেল ৪টা)।
এ বছর ভিন্ন এক পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বর্তমানে করোনা মহামারিতে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যার দিক দিয়ে বিশ্বে প্রথমে রয়েছে আমেরিকা। মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত ৯২ লাখ ৮৪ হাজার ২৬১ জনে দাঁড়িয়েছে এবং দুই লাখ ৩১ হাজার ৫০৭ জন মৃত্যুবরণ করেছে।
এবারের নির্বাচনে আঞ্চলিক অর্থনৈতিক সংকোচন এবং সাংস্কৃতিক ও বর্ণগত বিষয়গুলোতে নাগরিকরা বিভক্ত। নির্বাচনের শেষ মুহূর্তে সোমবার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চারটি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ রাজ্যে প্রচার চালিয়েছেন। এর মধ্যে পেনসিলভানিয়াও রয়েছে। এখানে প্রচার চালিয়েছেন ডেমোক্রেটিক দলের মনোনীত প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী জো বাইডেনও।
পেনসিলভানিয়ায় নির্বাচনের দিন ভোট গণনা বন্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। আদালতের ঘোষণা অনুযায়ী, পেনসিলভানিয়ায় মঙ্গলবার ভোট শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও তিন দিন পর্যন্ত যত পোস্টাল ব্যালট আসবে, তা গণনা করা হবে।
সুপ্রিম কোর্টের এ রায় ট্রাম্পের জন্য এক বড় ধাক্কা বলে মনে করা হচ্ছে। এটা নিয়ে ট্রাম্প অভিযোগ করে বলেন, ‘প্রতারণার এমন ঘটনা ঘটতে পারে যা আপনি কখনও দেখেননি।’
ট্রাম্প নির্বাচন নিয়ে ‘রাস্তায় সহিংসতা’ বিষয়েও টুইট করেছেন, যদিও এর আগে কোনো ঘটনা ঘটেনি।
এ সম্পর্কে বাইডেন বলেন, ‘আমি তাঁর (ট্রাম্পের) কথার প্রতিক্রিয়া জানাব না, আমি প্রচুর লোকদের অংশগ্রহণে একটি শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের আশা করছি।’
বাইডেন পিটসবার্গের সমাবেশে বলেন, ‘ট্রাম্প বিশ্বাস করেন যে, কেবল ধনী লোকদেরই ভোট দেওয়া উচিত এবং কোভিড-১৯-কে তিনি কৃষ্ণাঙ্গ আমেরিকানদের জন্য গণহত্যার ঘটনা হিসেবে বর্ণনা করেছেন।‘ তিনি বলেন, ‘রাগ, ঘৃণা, ব্যর্থতা আর দায়িত্বহীনতার টুইট যথেষ্ট হয়েছে।’