রুশ ক্ষেপণাস্ত্রেই বিধ্বস্ত হয়েছিল মালয়েশিয়ার ‘হারানো বিমান’
মালয়েশিয়া এয়ারলাইনসের ‘হারিয়ে যাওয়া’ বিমান এমএইচ১৭ ফ্লাইট রাশিয়ার তৈরি একটি ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে বিধ্বস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে নেদারল্যান্ডসের ডাচ সেফটি বোর্ডের একটি তদন্ত প্রতিবেদন। ৯ এম ৩৮ বিউক নামে ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে বিমানটি ইউক্রেনে বিধ্বস্ত হয়েছিল বলে জানানো হয়েছে ওই প্রতিবেদনে।
চূড়ান্ত এ ডাচ প্রতিবেদনে বলা হয়, ক্ষেপণাস্ত্রটি বিমানের সামনের বাম দিকে আঘাত হানে। ফলে আকাশেই বিমানটিতে আগুন ধরে যায় এবং বিমানটি ভেঙে পড়ে। ডাচ সেফটি বোর্ডের প্রধান টিবে জুস্ট্রার এই প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন। তবে এই ডাচ রিপোর্টকে পক্ষপাতদুষ্ট বলে অভিহিত করেছে রাশিয়া।
ওই দুর্ঘটনার পর পরই রাশিয়া-সমর্থিত বিদ্রোহীরা ওই বিমানটি ভূপাতিত করেছে বলে দাবি করেছিল পশ্চিমা গণমাধ্যম ও ইউক্রেন সরকার। আন্তর্জাতিক তদন্তকারীরা গত জুলাইয়ে ইউক্রেনের ওপর দিয়ে ওড়ার সময় মালয়েশিয়ান এয়ারলাইনসের যে বিমান বিধ্বস্ত হয়েছিল, তা ইউক্রেনের বিদ্রোহী-নিয়ন্ত্রিত এলাকা থেকে রাশিয়ায় তৈরি একটি ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতেই ধ্বংস হয়েছিল বলে নিশ্চিত করেছে।
তবে ওই তদন্ত প্রতিবেদনে ঘটনার জন্য কাউকে দোষারোপ করা না হলেও বলা হয়েছে আকাশসীমা বন্ধ রাখা উচিত ছিল।
গত বছর ১৭ জুলাই নেদারল্যান্ডসের আমস্টার্ডাম শহর থেকে কুয়ালালামপুর যাওয়ার পথে বিধ্বস্ত বোয়িং ৭৭৭ বিমানটির ২৯৮ জন আরোহীর বেশির ভাগই ছিলেন ডাচ নাগরিক।
একটি রুশ ক্ষেপণাস্ত্র-নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের প্রধান বলছেন, ১৯৮৬ সালেল আগে তৈরি ক্ষেপণাস্ত্রটি ২৫ বছরের বেশি পুরনো হওয়ায় তা রাশিয়ার ব্যবহারের অযোগ্য ছিল।
রিপোর্টে বলা হয়, ক্ষেপণাস্ত্রটি আঘাত করার সঙ্গে সঙ্গেই সম্ভবত বিমানের আরোহীরা জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছিলেন, তাই হয়তো মৃত্যুর আগে তাঁরা কোনো যন্ত্রণা অনুভব করেননি।