স্লোভেনিয়ায় ঢুকেছে হাজারো শরণার্থী
হাঙ্গেরি সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়ার পর আড়াই হাজারের বেশি শরণার্থী ক্রোয়েশিয়া থেকে স্লোভেনিয়ায় পৌঁছেছে। বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার দুই হাজার ৭০০ শরণার্থী স্লোভেনিয়ায় প্রবেশ করেছে। এদের বেশির ভাগই অস্ট্রিয়া, জার্মানি ও অন্যান্য দেশে অভিবাসনপ্রত্যাশী।
স্লোভেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী মিরো সেরার বলেন, শরণার্থী সংকট সামাল দিতে সীমান্তে পুলিশকে সহায়তা করার জন্য সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। তিনি বলেন, অস্ট্রিয়া ও জার্মানি যতদিন তাদের সীমান্ত খোলা রাখবে, স্লোভেনিয়া ততদিন শরণার্থীদের গ্রহণ করবে।
অভিবাসনপ্রত্যাশীর অনুপ্রবেশ ঠেকাতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নেতারা একটি পরিকল্পনায় একমত হতে ব্যর্থ হয়েছেন। এর পর হাঙ্গেরি স্থানীয় সময় গত শুক্রবার মধ্যরাতে ক্রোয়েশিয়ার সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে। এ পদক্ষেপের পর ক্রোয়েশিয়া বলছে, তারা এখন শরণার্থীদের স্লোভেনিয়ার দিকে পাঠাবে। গত মাসে হাঙ্গেরি সার্বিয়ার সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করে দেয়।
স্লোভেনিয়ার কর্তৃপক্ষ তাদের নাম নিবন্ধন করেছে এবং অস্ট্রিয়ার সীমান্তে পৌঁছার জন্য পরিবহনের ব্যবস্থা করে দিয়েছে।
স্লোভেনিয়ার রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদ সংস্থা এসটিএ জানিয়েছে, কয়েকজন শরণার্থী এরই মধ্যে অস্ট্রিয়ার সীমান্তে পৌঁছেছে এবং স্পিলফেল্ড সীমান্তে নাম নিবন্ধন করিয়েছে। জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) মুখপাত্র ক্যারোলাইন ভ্যান বোরেন বলেছেন, সিরিয়া, ইরাক ও আফগানিস্তান থেকে আসা শরণার্থীদের বেশির ভাগই স্লোভেনিয়ার সীমান্ত পার হয়েছে। পেটিসোভসি তল্লাশি চৌকিতে এএফপিকে তিনি বলেন, ‘তারা যুদ্ধ থেকে পালাচ্ছে...আক্ষরিক অর্থে তারা জীবনের জন্য দৌড়াচ্ছে।’
এদিকে, স্থানীয় সময় আজ রোববার জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেল তুরস্কে যাচ্ছেন। তিনি শরণার্থী সংকট নিয়ে তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানের সঙ্গে আলোচনা করবেন। তুরস্ক থেকে ইইউভুক্ত দেশগুলোতে লাখ লাখ অভিবাসনপ্রত্যাশী প্রবেশ করেছে। ইউরোপে প্রবেশে অনেক সময় শরণার্থীরা সাগরের মতো বিপজ্জনক পথও বেছে নিচ্ছে তারা।