বরগুনায় ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে প্রথমবারের মতো পালিত হলো জোছনা উৎসব। বরগুনার বিষখালী নদীর মোহনায় বাইনচটকির চরের স্নিগ্ধ বনভূমিতে গতকাল বুধবার সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলে এ উৎসব। বরগুনার সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনের প্রায় দুই শতাধিক ব্যক্তি এ উৎসবে অংশ নেন। জোছনার গান, কবিতা আর পুঁথিপাঠ দিয়ে শুরু হয়ে বিষখালী নদীতে দীপালি ভাসিয়ে শেষ হয় এ উৎসব।

জোছনা উৎসবে সঙ্গীত পরিবেশন করেন মনোয়ার হোসেন, কমল মজুমদার, মোসতাক আহমেদ, মুনিরুজ্জামান স্বপন, মালেক খান ও অমিত কর্মকার প্রমুখ। পুঁথি পাঠ করেন সাংবাদিক মনির হোসেন কামাল। কবিতা আবৃত্তি করেন হুরুন্নাহার রোজী এবং চারণ কবি ইদ্রিস আলী খান। এ ছাড়া কাজী সেলিনা হোসেনের রম্য সংবাদ, রাইজুল হাসান রাজিমের কৌতুক, মুনির জামান ও মুশফিক আরিফের প্যারোডির পাশাপাশি স্নিগ্ধ রাতে বাঁশি বাজিয়ে উৎসবকে আরো আকর্ষণীয় করে তোলেন বংশীবাদক আরিফুর রহমান সোহেল। 

জোছনা উৎসবের অন্যতম প্রধান আয়োজক তরুণ সাংবাদিক সোহেল হাফিজ বলেন, ‘দিন দিন নির্মল বিনোদনের সব সুযোগ একে একে হারিয়ে যাচ্ছে। শহুরে জীবনের নাগরিক ব্যস্ততায় হাসফাস সবাই। এ জোছনা উৎসব বরগুনার সর্বস্তরের নারী-পুরুষ ও শিশু-কিশোরসহ তরুণ প্রজন্মের নির্মল বিনোদনের একটি সুযোগ তৈরি করবে।’ পরবর্তী বছরগুলোতে আরো বড় পরিসরে জোছনা উৎসব বাস্তবায়নের প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি। 

জোছনা উৎসবে উপস্থিত সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের বরগুনা শাখার সভাপতি মো. শাহজাহান বলেন, ‘উদ্যোগটি অত্যন্ত সময় উপযোগী। তরুণ সাংবাদিক সোহেল হাফিজের প্রস্তাবনায় সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এবারের এ জোছনা উৎসব শতভাগ সফল হয়েছে বলে আমি মনে করি। আগামী বছরগুলোতে আরো আকর্ষণীয় করে এ উৎসবের আয়োজন করা হবে।’  

প্রথমবারের মতো আয়োজিত এ জোছনা উৎসবে বরগুনার সামাজিক ও সাংস্কৃতিক নেতাদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন, বরগুনা প্রেসক্লাবের সভাপতি হাসানুর রহমান ঝন্টু, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান লে. ক. (অব.) আব্দুল খালেক, বরগুনা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আব্দুল আলীম হিমু, চিত্তরঞ্জনশীল, জহিরুল হাসান বাদশা, জাকির হোসেন মিরাজ, বরগুনা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জাফর হোসেন হাওলাদার, রবীন্দ্র সংগীত সম্মিলন পরিষদ, বরগুনার সহসভাপতি মনোয়ার হোসেন, উদীচী বরগুনার সহসভাপতি আবদুল মালেক খান, উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা মোসতাক আহমেদ, বরগুনা থিয়েটারের সভাপতি মুনিরুজ্জামান, শাহ মো. ওলিউল্লাহ, সাংবাদিক আবু জাফর মো. সালেহ প্রমুখ।