বাগেরহাটে রহিম ফকির হত্যাকাণ্ডে তিনজনের যাবজ্জীবন
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জের আবদুর রহিম ফকির হত্যা মামলায় তিনজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার সকালে বাগেরহাটের দায়রা জজ আদালতের বিচারক মিজানুর রহমান খান এই রায় দেন।
রায়ে দণ্ডপ্রাপ্তদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো এক বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেন। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার ঝিলবুনিয়া গ্রামের দুই ভাই সোবহান শেখ ও শাজাহান শেখ এবং একই গ্রামের বারেক শেখ।
নিহত আবদুর রহিম ফকির বিএনপির একজন নেতা ছিলেন বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
সকালে বাগেরহাট জেলা ও দায়রা জজ আদালতে রায় ঘোষণার সময় চার নারীসহ এই মামলার মোট ১৯ আসামি উপস্থিত ছিলেন। তবে রায়ে ১৬ জনকে খালাস দেন আদালত।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ১৩ নভেম্বর ২০০৪ সালে বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার কামলা বাজারের রাসেলের দোকান থেকে বিএনপির নেতা রহিম ফকিরকে পূর্বশত্রুতা ও স্থানীয় রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে পরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর আসামি শাহজাহান শেখের বাড়িতে নিয়ে আবদুর রহিমের হাত পা বেঁধে, দেশীয় অস্ত্র দিয়ে তাঁর শরীরের বিভিন স্থানে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হাত-পা ভেঙে শরীরে বিষাক্ত ওষুধ ইনজেকশনের মাধ্যমে প্রবেশ করিয়ে হত্যা করা হয়।
এই ঘটনায় পরদিন রহিম ফকিরের বাবা সাহেব আলী বাদী হয়ে ২৯ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
২০০৫ সালের ৩০ মার্চ উপপরিদর্শক আবদুল কুদ্দুস ১৯ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। দীর্ঘ শুনানিতে বিচারক ২৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য নেন। এ ছাড়া বিভিন্ন তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে আজ এই রায় দেন আদালত।
মামলায় যাঁরা খালাস পেয়েছেন তাঁরা হলেন কাইয়ুম শিকদার, শাজাহান হাওলাদার, শাহীদা বেগম, স্বরূপজান বিবি, মনোয়ারা বেগম, জোসনা বেগম, আফজাল শেখ, রফিক শেখ, আলমগীর হাওলাদার, শাহীন শিকদার, আকরাম শেখ, আক্কাস সরদার, সোবহান শেখ, আনছার হাওলাদার, আবজাল শেখ ও আকা শেখ। এদের সবার বাড়ি মোরেলগঞ্জ উপজেলার ঝিলবুনিয়া গ্রামে।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন পাবলিক প্রসিকিউটর শেখ মোহাম্মদ আলী এবং আসামিপক্ষে ছিলেন মো. আলী আকবর।