মামুনুল হককে নিয়ে কটূক্তি, সুনামগঞ্জে বাড়িঘরে হামলা
হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হককে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে কটূক্তি করায় সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার নোয়াপাড়া গ্রামের ১০ থেকে ১২টি বাড়িঘরে হামলা চালিয়েছে লোকজন। আজ বুধবার সকালে এ হামলার পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলায় শানে রিসালাত সম্মেলনে লক্ষাধিক মানুষের সামনে বক্তব্য দেন হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। সেই সূত্র ধরে পাশের শাল্লা উপজেলার হবিবপুর ইউনিয়নের নোয়াপাড়া গ্রামের ঝুমন দাস আপন তাঁর ফেসবুকে মাওলানা মামুনুল হককে নিয়ে আপত্তিকর পোস্ট দেন। একপর্যায়ে ঝুমনকে খুঁজে বের করে গতকাল মঙ্গলবার রাতে তাকে পুলিশে দেয় লোকজন। এরপরও লোকজন শান্ত না হয়ে আজ সকাল থেকে লাঠিসোঁটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে উপজেলার হবিবপুর ইউনিয়নের নোয়াপাড়া গ্রাম ঘিরে রাখে। পরে তারা ১০-১২টি বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শাল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হক জানান, হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হককে নিয়ে মঙ্গলবার ফেসবুকে কটূক্তিমূলক একটি পোস্ট দেন ওই গ্রামের যুবক ঝুমন দাস আপন। সে রাতেই স্থানীয়রা তাকে স্থানীয় শাঁসকাই বাজারে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন এবং হেফাজতে ইসলামের স্থানীয় নেতারা এ ঘটনায় একটি মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
‘এ অবস্থার মধ্যেই আজ সকালে আশেপাশের কয়েকটি গ্রামের কয়েক শ হেফাজত সমর্থক বাসিন্দা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘবদ্ধ হন। তারপর তারা ওই যুবকের বাড়িসহ আশেপাশের ১০-১২টি হিন্দু বাড়িতে হামলা চালান। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে’, বলেন ওসি।
তবে, হামলার ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ দায়ের করা হয়নি কিংবা হামলাকারীদের কাউকে আটক করা হয়নি বলেও জানান ওসি।
সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। আর এই ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত আছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে আইনের আওতায় আনা হবে।