সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বাড়িঘরে হামলার সঠিক তদন্ত করা হবে : এসপি
ফেসবুকে পোস্ট দেওয়াকে কেন্দ্র করে সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বাড়িঘরে হামলা চালানো হয়েছে। যেহেতু ওই পোস্টকে কেন্দ্র করে ঘটনা শুরু হয়েছে, তাই মামলার তদন্ত ওখান থেকেই শুরু হবে। এ হামলার সঠিক তদন্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মিজানুর রহমান। আজ রোববার দুপুর ১২টায় এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
মিজানুর রহমান বলেন, কয়েকটি গ্রামের উত্তেজিত মানুষ জড়ো হয়ে গ্রামটিতে হামলা চালায়। গ্রামটি লম্বা হওয়ায় একপাশে প্রশাসনের লোকজন থাকা সত্ত্বেও অপরপাশ দিয়ে দুষ্কৃতকারীরা হামলা চালিয়ে ক্ষয়ক্ষতি করে। বাড়িঘরে হামলা চালানো হয়। অধিকাংশ পরিবার দরিদ্র হওয়ায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বেশি হয়েছে। তাদের উপাসনাকেন্দ্র ভাঙচুর করা হয়েছে।
জলমহাল নিয়ে দ্বন্দ্বের বিষয়টি জানতে চাইলে পুলিশ সুপার বলেন, ‘বিষয়টি তদন্তাধীন, তাই কিছু বলা যাবে না। তবে গ্রামের লোকজনের মধ্যে কিছু বিষয় নিয়ে বিরোধ ছিল। তদন্তে এই বিষয়টিও বের হয়ে আসবে। কে বা কারা জড়িত তা সঠিকভাবে জানা যাবে।’
মামলায় দেড় হাজার আসামি করার বিষয়টি জানতে চাইলে পুলিশ সুপার বলেন, কতজন হামলায় যুক্ত ছিল তা জানা যায়নি। এখন পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে ৩৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে পুলিশ কোনো নিরীহ ব্যক্তিকে হয়রানি করবে না।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) সাহেব আলী পাঠান, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুর রহমান প্রমুখ।
গত মঙ্গলবার হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হককে নিয়ে নোয়াগাঁও গ্রামের ঝুমন দাস আপন তার ফেসবুক আইডি থেকে কটাক্ষ করে পোস্ট দেন। পরে এলাকাবাসী ঝুমনকে পুলিশে তুলে দেয়। পরদিন বুধবার সকাল থেকে কয়েক গ্রামের হাজার খানেক মানুষ বিক্ষোভ করে নোয়াগাঁও গ্রামে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বাড়িঘরে হামলা চালায়। এ ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা করা হয়েছে। গ্রামবাসীর পক্ষে দায়ের করা মামলায় বাদী হয়েছেন হবিবপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান বিবেকানন্দ মজুমদার বকুল। ওই মামলায় ৫০ জনের নাম উল্লেখসহ দেড় হাজার অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। অপরদিকে পুলিশের মামলায় বাদী হয়েছেন থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল করিম।