শাল্লার নোয়াগাঁও পরিদর্শনে আ.লীগের প্রতিনিধিদল
সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার নোয়াগাঁওয়ে হামলায় হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকদের ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িঘর পরিদর্শনের গিয়েছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির একটি প্রতিনিধিদল। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে পরিদর্শনে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত লোকদের সঙ্গে কথা বলেন। এরপর দলের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের হাতে খাদ্য সহায়তাও তুলে দেন কেন্দ্রীয় নেতারা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আহমেদ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, কেন্দ্রীয় নেতা সুজিত চন্দ্র নন্দি, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এম এনামুল কবির ইমন, আওয়ামী লীগ নেতা ব্যারিস্টার ডাল্টন তালুকদার, তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান করুণা সিন্ধু চৌধুরী বাবুল, তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলামিন চৌধুরী প্রমুখ।
উল্লেখ্য, গত ১৫ মার্চ সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলায় শানে রিসালাত সম্মেলনে লক্ষাধিক মানুষের সামনে বক্তব্য দেন হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় নেতারা। সেই সূত্র ধরে পাশের শাল্লা উপজেলার হবিবপুর ইউনিয়নের নোয়াপাড়া গ্রামের ঝুমন দাস আপন তাঁর ফেসবুকে মাওলানা মামুনুল হককে নিয়ে আপত্তিকর পোস্ট দেন বলে দাবি করা হয়। এক পর্যায়ে ঝুমনকে খুঁজে বের করে গত মঙ্গলবার রাতে পুলিশে দেয় লোকজন। এরপরও লোকজন শান্ত না হয়ে গত বুধবার সকাল থেকে লাঠিসোটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে নোয়াপাড়া গ্রাম ঘিরে রাখে। পরে তারা বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করে।
এ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার রাতে হবিবপুর ইউপির চেয়ারম্যান বিবেকানন্দ মজুমদার বকুল ৫০ জনের নাম উল্লেখ করে প্রথম মামলাটি করেন। মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে দিরাই উপজেলার সরমঙ্গল ইউপির সদস্য নাচনী গ্রামের বাসিন্দা শহিদুল ইসলাম স্বাধীন মিয়াকে। তিনি ওই ইউনিয়নের ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি বলে জানা গেছে। তবে স্বাধীন মিয়া যুবলীগের কেউ নন বলে দাবি করছেন জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক খায়রুল হুদা চপল।
এ ছাড়া অজ্ঞাত আরও দেড় হাজার জনকে আসামি করে পুলিশের পক্ষ থেকে অপর মামলাটি করা হয়। পুলিশের করা মামলার বাদী হয়েছেন শাল্লা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল করিম।