লক্ষ্মীপুরে যৌতুকের দাবিতে দুই গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ
যৌতুক না দেওয়ায় লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে দুই নারীকে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ মঙ্গলবার সকালে উপজেলার পৃথক স্থান থেকে পুলিশ তাঁদের লাশ উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। একটি ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
নিহত দুই নারী হলেন উপজেলার চরগাজী ইউনিয়নের গাবতলী গ্রামের আলমগীর হোসেনের মেয়ে রিমা আক্তার (২৬) ও নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার চরকলাক গ্রামের সিদ্দিক উল্লাহর মেয়ে আলেয়া বেগম (২৫)। তাঁদের পরিবারের ভাষ্য, যৌতুক না দেওয়ায় স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন দুজনকে পিটিয়ে হত্যা করেছে। এ দুই ঘটনায় মামলা হয়েছে।
গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন নিহত আলেয়া বেগমের শাশুড়ি রোকেয়া বেগম (৬৫) ও ননদ শিল্পী বেগম (২২)।
আলেয়া বেগমের বাবা সিদ্দিক উল্লাহ অভিযোগ করেন, তিন বছর আগে রামগতির চরলক্ষ্মী গ্রামের জামাল উদ্দিনের ছেলে তানভীর হাসান রাসেলের সঙ্গে তাঁর মেয়ের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের জন্য রাসেল ও তাঁর পরিবারের লোকজন তাঁর মেয়েকে প্রায়ই বেঁধে নির্যাতন করতেন। সহ্য করতে না পেরে সাতদিন আগেও আলেয়া বাড়ি চলে এসেছিল। তখন তাঁর শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখেন তাঁরা। বুঝিয়ে আবার স্বামীর বাড়ি পাঠানো হয়। গতকাল যৌতুক নিয়ে বিবাদের একপর্যায়ে তাঁকে পিটিয়ে হত্যা করেন রাসেল ও তাঁর বাড়ির লোকজন।
রিমা আক্তারের বড় ভাই জানান, দুই বছর আগে রামগতির চরগাজী ইউনিয়নের গাবতলী গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে সুমনের সঙ্গে রিমার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে যৌতুকের জন্য সুমন ও তাঁর পরিবারের লোকজন প্রায়ই তাঁকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতেন। যৌতুক নিয়েই গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় তাঁদের দুজনের মধ্যে ঝগড়া হয়। এরপর সুমনসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন রিমাকে মারধর করেন। রাতে তাঁকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। পরে লাশ ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যা বলে প্রচারণা চালান শ্বশুরবাড়ির লোকজন।
রামগতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইকবাল হোসেন জানান, লাশ দুটির ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ দুটি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।