নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের সংঘর্ষে শফিকুল ইসলাম নামের আরও এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় চলমান সংঘর্ষে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার ভোরে ও বিকেলে উপজেলার পাড়াতলী ইউনিয়নের কাচারিকান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় চারজনকে আটক করেছে পুলিশ।  

এর আগে গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় সংঘর্ষের সময় ইয়াছিন মিয়া নামের (১৩) এক কিশোরের মৃত্যু হয়।

উপজেলার কাচারিকান্দি গ্রামের মেম্বার শাহ আলম ও সাবেক মেম্বার ফজলু সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষ ও হতাহতের ঘটনা ঘটে। এতে তিনজন গুলিবিদ্ধসহ আহত হয়েছে অন্তত ২০ জন।

গুলিবিদ্ধ তিনজন হলেন রুবেল, বাহক ও সাগর। তাদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

নিহতরা হলেন শহিদ মিয়া (২৮), কাচারিকান্দি গ্রামের কিশোর ইয়াছিন মিয়া (১৩) ও শফিকুল ইসলাম (২৫)। 

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, এলাকার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে রায়পুরা উপজেলার চরাঞ্চল পাড়াতলী ইউনিয়নের কাচারিকান্দী গ্রামের শাহ আলম মেম্বার ও সাবেক মেম্বার ফজলুর সমর্থকদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় দুপক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টধাওয়াসহ গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এতে প্রতিপক্ষে ছোড়া গুলি কিশোর ইয়াছিনের বুকে গুলিবিদ্ধ হয়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে রায়পুরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত হয় কমপক্ষে ২০ জন।

পরে ওই সংঘর্ষের জেরে আজ মঙ্গলবার সকালে প্রতিপক্ষের ছোড়া টেঁটায় বিদ্ধ হয়ে মারা যান শহিদ মিয়া (২৮) এবং বিকেলে শফিকুল ইসলাম নামের আরও একজন।

নরসিংদীর সহকারী পুলিশ সুপার (রায়পুরা সার্কেল) সত্যজিৎ কুমার ঘোষ বলেন, ‘সংঘর্ষে ঘটনায় এ পর্যন্ত তিনজন নিহত হয়েছেন। মরদেহগুলো উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন এবং বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এ পর্যন্ত চারজনকে আটক করা হয়েছে।’