প্রথম ধাপে মানবিক সহায়তা পৌঁছেছে গাজায়
ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তির পর প্রথম ধাপে মানবিক সহায়তা পৌঁছেছে গাজা উপত্যকায়। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি আজ শনিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
হাজার হাজার ফিলিস্তিনি এরই মধ্যে নিজেদের বাড়ির পরিস্থিতি দেখার জন্য ছুটে আসছে। তবে শত শত ঘরবাড়ি একেবারে ধ্বংস হয়ে গেছে। কর্মকর্তারা বলছেন, ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িগুলো মেরামত করতে বছরের বেশি সময় লেগে যাবে।
এদিকে আল-জাজিরার খবরে বলা হয়, অন্তত এক হাজার বাড়ি একেবারে ধ্বংস হয়েছে। আরও সাত শতাধিক বাড়ির বেশিরভাগ অংশ ধ্বংস হয়েছে এবং ১৪ হাজার ঘরবাড়ি কোনো না কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
গাজার সরকারি কর্মকর্তারা বলছেন, গত ১১ দিনে ইসরায়েলি হামলায় যে ক্ষতি হয়েছে, তাতে ভবনগুলো পুনরায় নির্মাণ করতে বেশ কয়েক বছর সময় লেগে যাবে।
পরিস্থিতি বিবেচনা করে গাজায় আহত ব্যক্তিদের সরিয়ে নেওয়ার জন্য করিডোর তৈরি করার আহ্বান জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
টানা ১১ দিনের সংঘর্ষে ২৫০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। তাদের বেশিরভাগই মারা গেছে গাজায়। তবে ইসরায়েল ও হামাস উভয়পক্ষই নিজেদের বিজয় দাবি করছে।
এদিকে যুদ্ধবিরতির পর গাজা পুনর্গঠনে অবদান রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠায় ইসরায়েল ফিলিস্তিন দুই রাষ্ট্র সমাধানই একমাত্র পথ বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।
গতকাল শুক্রবার হোয়াইট হাউসে বক্তৃতাকালে বাইডেন গাজা পুনর্গঠনে সমন্বিত উদ্যোগ নিতে সহায়তা করবেন বলে জানান। তিনি বলেন, “ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের জন্য ‘উল্লেখযোগ্য’ ত্রাণ সহায়তার ব্যবস্থা করা হবে। আমি এটা করতে বদ্ধ পরিকর।”
তবে তিনি হামাসকে কোনো সুযোগ দিতে চান না। বাইডেন বলেন, ‘হামাস যেন কোনোভাবেই আর অস্ত্র মজুত করতে না পারে সেটি লক্ষ্য রাখতে হবে।’
অবশ্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট জোর দিয়ে বলেছেন, ‘ইসরায়েলের নিরাপত্তার বিষয়ে আমার প্রতিশ্রুতিতে কোনো পরিবর্তন আসেনি। আদৌ কোনো পরিবর্তন হয়নি।’