কঙ্গোতে আগ্নেয়গিরি বিস্ফোরণ, শহর ছেড়ে পালাচ্ছে মানুষ
আফ্রিকার দেশ ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোতে (ডিআর কঙ্গো) সক্রিয় হয়ে উঠেছে নাইরাগঙ্গো আগ্নেয়গিরি। ভয়াবহ মাত্রায় উদগিরণ শুরু হওয়ায় পূর্বাঞ্চলীয় শহর গোমা থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে নিচ্ছে প্রশাসন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি নিউজ বলছে, গোমা থেকে ছয় মাইল দূরে অবস্থিত নাইরাগঙ্গো পর্বতে আগ্নেয়গিরির ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। রোববার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টার দিকে ঘটনাটি ঘটে।
জানা গেছে, ২০ লাখ বাসিন্দার শহরটির রাতের আকাশ নাইরাগঙ্গোর আগুনে কমলা রং ধারণ করেছে। জ্বলন্ত লাভার বিস্ফোরণে দূর-দূরান্তে গিয়ে পড়ছে আগুনের ফুলকি। উত্তপ্ত লাভার ঢলের আতঙ্কে প্রাণ বাঁচাতে শহর ছেড়ে পালাতে শুরু করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
দলে দলে হেঁটেই ছাড়ছেন শহর। উদগিরণ শুরু হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর সরকারি ঘোষণা এলেও এর আগেই পূর্বাঞ্চলে রুয়ান্ডা সীমান্তের উদ্দেশে ছুটতে শুরু করেন হাজারো মানুষ।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম এপিকে জাখারি পালুকু নামে এক নাগরিক বলেন, ‘আমাদের মাথা খারাপ হয়ে যাচ্ছে। সবাই ভয় পেয়ে আছে, পালাচ্ছে। কী করা উচিত আমাদের, বুঝতে পারছি না।’
আগ্নেয়গিরিতে একটি নতুন ফাটল সৃষ্টি হওয়ায় গোমার দক্ষিণের দিকে বয়ে যেতে শুরু করেছে উত্তপ্ত লাভা। সেদিক থেকে শহরের পূর্ব প্রান্তে অবস্থিত বিমানবন্দরের দিকে এগোচ্ছে লাভার স্রোত।
পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কায় শহরের বড় অংশজুড়ে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রাখা হয়েছে। লাভার কারণে বন্ধ হয়ে গেছে গোমার সঙ্গে বেনি শহরের সড়ক যোগাযোগ। বিষাক্ত সালফারের গন্ধ মিশে যাচ্ছে দূরের বাতাসেও।
ভিরুঙ্গা ন্যাশনাল পার্কে অবস্থিত আগ্নেয়গিরিটির এবারের অগ্ন্যুৎপাতও ২০০২ সালের মতোই ভয়াবহ রূপ নেওয়ার পথে বলে সতর্ক করেছেন পার্কটির এক কর্মকর্তা। কর্মীদের উদ্দেশে দেওয়া চিঠিতে বিমানবন্দরের কাছে অবস্থানরত প্রত্যেককে অবিলম্বে সরে যাওয়ার নির্দেশও দিয়েছেন তিনি।
চলমান পরিস্থিতিতে রাজধানী কিনশাসায় জরুরি বৈঠক করেছেন কঙ্গোর প্রধানমন্ত্রী জ্যঁ-মিখাইল সামা লুকোঁদ।