বিশ্ব বাজারে খাদ্যের দাম গত এক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ
চলতি বছরের মে মাসে বিশ্ব বাজারে খাদ্যের দাম গত এক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ ছিল বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের খাদ্য সংস্থা। গতকাল বৃহস্পতিবার ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচারাল অর্গানাইজেশন (এফএও) এ তথ্য জানায়। বার্তা সংস্থা রয়টার্স তাদের খবরে এমনটি জানিয়েছে।
এফএও’র সূচকে প্রতি মাসের বৈশ্বিক খাদ্য বাজারের দরদামের হালনাগাদ তথ্য দেওয়া হয়। গম, যব ও ডালজাতীয় দানাশস্য, নানা রকম তৈলবীজ, দুগ্ধজাত পণ্য, মাংস, চিনির বাজারদরের হিসাব ধরে সূচকটি তৈরি করা হয়।
ওই সূচকে বলা হয়েছে, ২০১১ সালের সেপ্টেম্বর মাসের পর থেকে শুরু এ পর্যন্ত গত মে মাসে বিশ্ব খাদ্য বাজার সর্বোচ্চ গরম ছিল। এ ছাড়া মে পর্যন্ত গত ১২ মাস ধরে বিশ্ব খাদ্যমূল্য বেড়েই চলেছে। মে মাসে যেখানে গড়ে ১২৭ দশমিক ১ পয়েন্ট দেখানো হয়েছে। আগের মাস এপ্রিলে যা ১২১ দশমিক ৩ পয়েন্ট। গত বছরের মে মাসের তুলনায় এ বছরের মে মাসে বিশ্ব বাজারে খাদ্যের দাম ৩৯ দশমিক ৭ শতাংশ বেশি।
ভোজ্যতেলের দাম মে মাসে ৭ দশমিক ৮ শতাংশ বেড়েছে। মূলত পাম ও সয়াবিন তেলের বাজার উঠতির দিকে। দক্ষিণপূর্ব এশিয়ায় উৎপাদনে ধীরগতির জন্য পামতেলের বাজারে উর্দ্ধগতি দেখা দিয়েছে বলে জানা গেছে।
আগুন লেগেছে চিনির বাজারেও। বিশ্বের বৃহত্তম চিনি রপ্তানিকারক ব্রাজিল মহামারি করোনাভাইরাসে পর্যুদস্ত থাকায় কাঁচামাল উৎপাদন বাধাগ্রস্ত হয়। ফলে এপ্রিলের চেয়ে মে মাসে বিশ্ব বাজারে চিনির দাম ৬ দশমিক ৮ শতাংশ বেড়ে গেছে।
সব ধরনের মাংসে গড়ে এপ্রিলের চেয়ে মে মাসে ২ দশমিক ২ শতাংশ দাম বেড়েছে। চীনসহ পূর্ব এশিয়ার দেশগুলো থেকে আমদানি করা মাংসে এমন মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে।
দুগ্ধজাত পণ্যে মাসিক হিসেবে ১ দশমিক ৮ শতাংশ আর বছরের হিসেবে ২৮ শতাংশ দাম বেড়েছে বলে জাতিসংঘের খাদ্য সংস্থার সূচক জানায়।
এ ছাড়া এবারই প্রথম পৃথিবীজুড়ে মোট দানাশস্য উৎপাদনের হালনাগাদ তথ্য নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে এফএও। ২০২১ সালে ২০২০ সালের চেয়ে ১ দশমিক ৯ শতাংশ বেশি অর্থাৎ ২ দশমিক ৮২১ বিলিয়ন টন দানাশস্য উৎপাদন হতে পারে।