পাগলা মসজিদের দানসিন্দুকে মিলল ২ কোটি ৩৩ লাখ টাকা
কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানসিন্দুক খুলে দুই কোটি ৩৩ লাখ ৯৩ হাজার ৭৭৯ টাকা পাওয়া গেছে। এ ছাড়া বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালংকারও পাওয়া গেছে। আজ শনিবার সকালে মসজিদের আটটি দানসিন্দুক একসঙ্গে খোলা হয়।
পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এর আগে সর্বশেষ গত ২৩ জানুয়ারি দানসিন্দুক খোলা হয়েছিল। তখন সর্বোচ্চ দুই কোটি ৩৮ লাখ ৫৫ হাজার ৫৪৫ টাকা পাওয়া গিয়েছিল। তখন খোলা হয়েছিল পাঁচ মাস পর। এবার ৪ মাস ২৬ দিন পর খোলা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক শামীম আলম আরও জানান, প্রাপ্ত দানের টাকা থেকে পাগলা মসজিদের এবং এই মসজিদ কমপ্লেক্সের অন্তর্ভুক্ত মাদ্রাসা, এতিমখানা ও গোরস্থানের ব্যয় নির্বাহ করা হয়। ওই টাকা দিয়ে জেলার বিভিন্ন মসজিদ, মাদ্রাসা, এতিমখানায় সহায়তার পাশাপাশি গরিব ছাত্রদের মধ্যে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়। এ ছাড়া বিভিন্ন সামাজিক কাজেও টাকা দেওয়া হয়।
সুউচ্চ মিনার ও তিন গম্বুজ বিশিষ্ট তিনতলা বিশাল পাগলা মসজিদ কিশোরগঞ্জের অন্যতম ঐতিহাসিক স্থাপনা। জেলা শহরের পশ্চিম প্রান্তে নরসুন্দা নদীর তীরে হারুয়া এলাকায় অবস্থিত পাগলা মসজিদ প্রায় চার একর জায়গা জুড়ে অবস্থিত। কথিত আছে, প্রায় ৫০০ বছর আগে বাংলার বারো ভূঁইয়া বা প্রতাপশালী বারোজন জমিদারদের অন্যতম ঈশা খাঁর আমলে দেওয়ান জিলকদর খান ওরফে জিল কদর পাগলা নামের একজন ব্যক্তি নদীর তীরে বসে নামাজ পড়তেন। পরবর্তীতে ওই স্থানটিতে মসজিদটি নির্মিত হয়। জিল কদর পাগলার নামানুসারেই মসজিদটি ‘পাগলা মসজিদ’ হিসেবে পরিচিতি পায়।