শরীয়তপুরে এক বুদ্ধি প্রতিবন্ধী তরুণীকে নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে দুই যুবককে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে চরস্বর্ণঘোষ গ্রাম থেকে ওই দুই যুবককে আটক করা হয়।

নিহতরা হলেন চরস্বর্ণঘোষ গ্রামের জাকির হোসেন শরীফ জামির (৩৫) ও দবির ফকির (২১)।

শরীয়তপুর সদর উপজেলার তুলাসার ইউনিয়নের চরস্বর্ণঘোষ গ্রামের কুদ্দুস আকনের বাড়িতে এক সপ্তাহ আগে ওই নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। গতকাল নির্যাতনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হলে ঘটনাটি জানাজানি হয়। ভিডিও দেখে নির্যাতনকারী দুই যুবককে শনাক্ত করে পুলিশ। তবে ওই তরুণীকে শনাক্ত করা যায়নি।

১২ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে দেখা যায়, গভীর রাতে একটি বসতঘরের সিঁড়ি বারান্দায় এক তরুণী বসে আছেন। তাঁর পাশে বসে ও দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় দুজনকে। তাঁরা কথা বলছিলেন। এক পর্যায়ে তরুণীকে পেটাতে শুরু করেন একজন। ভিডিওটি দেখার পর পুলিশ খোঁজ নিয়ে জানতে পারে ঘটনাটি ঘটে ইউনিয়নের চরস্বর্ণঘোষ গ্রামের কুদ্দুস আকনের বাড়িতে।

কুদ্দুস আকনের স্ত্রী রহিমা বেগম বলেন, ‘সপ্তাহখানেক আগে রাতে হঠাৎ একটি মেয়ে ঘরের দরজা খুলতে বলেন। তিনি ভয়ে দরজা না খুলে বিষয়টি মুঠোফোনে এক আত্মীয়কে জানান। পরে সেই আত্মীয়ের পরামর্শে তিনি দরজা আটকে ঘরেই বসে থাকেন। এর কিছুক্ষণ পর তিনি চিৎকার ও মারধরের শব্দ শুনতে পান। তবে ভয়ে তিনি দরজা খুলে বাইরে কী ঘটছে, তা দেখার সাহস পাননি।’

তুলাসার ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য চেয়ারম্যান জাহিদ ফকির বলেন, ‘নির্যাতনের শিকার প্রতিবন্ধী ওই তরুণীকে মাসখানেক ধরে ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে ঘুরতে দেখেছে স্থানীয় লোকজন। কিন্তু কেউ তাঁর ঠিকানা, পরিচয় বলতে পারেনি।’ 

শরীয়তপুর সদরের পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আক্তার হোসেন বলেন, ‘ভিডিওটি পুলিশের হাতে এসেছে। এরই মধ্যে শনাক্ত করে জামির ও দবিরকে আটক করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে। তবে ওই তরুণীকে শনাক্ত করা যায়নি।’

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মনদীপ ঘরাই বলেন, ‘তরুণীকে নির্যাতনের একটি ভিডিও ফেসবুকে দেখতে পাই। তাৎক্ষণিক বিষয়টি পুলিশকে জানাই। তারা শনাক্ত করে দুজনকে আটক করেছে। বিষয়টির খোঁজখবর রাখছি।’