তালেবানের ভয়ে তাজিকিস্তানে পালিয়ে যাচ্ছে সেনারা
আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলে তালেবানের সঙ্গে লড়াইয়ে টিকতে না পেরে এক হাজারেরও বেশি আফগান সরকারি সেনা সীমান্ত অতিক্রম করে পাশের তাজিকিস্তানে পালিয়ে গেছে বলে সে দেশের সরকার বলছে।
তাজিক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আফগান প্রদেশ বাদাখশানের কয়েকটি জেলায় যুদ্ধের পর ‘প্রাণ বাঁচানোর’ তাগিদেই এসব আফগান সেনা তাদের দেশে আশ্রয় নিয়েছে।
আফগানিস্তানের এক-তৃতীয়াংশ এলাকা এখন তালেবানের দখলে এবং প্রতিদিনই তারা নতুন নতুন জেলা সরকারি বাহিনীর হাত থেকে ছিনিয়ে নিচ্ছে। দেশটিতে ন্যাটোর দুই দশকের সামরিক মিশনের সমাপ্তির সঙ্গে সঙ্গে তালেবানের পুনরুত্থান হচ্ছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির আফগানিস্তান সংবাদদাতা সেকান্দার কিরমানি জানান, বাদাখশানে তালেবান যোদ্ধারা দ্রুত ঐ এলাকার প্রধান শহর ফায়েজাবাদের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
গত কয়েক সপ্তাহে সীমান্তবর্তী কয়েকটি ঘাঁটি থেকে আফগান সরকারি সেনাদের পালানোর ঘটনা ঘটেছে। প্রতিবেশী আরেকটি দেশ উজবেকিস্তানেও কিছু আফগান সেনা আশ্রয় নিয়েছে। সর্বশেষ এই ঘটনায় এক হাজারেরও বেশি আফগান সৈন্যকে তাজিকিস্তানে ঢুকতে দেওয়া হয়েছে।
তবে আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি জোর দিয়ে বলেছেন, দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুরোপুরি সক্ষম, তবে যুদ্ধ থেকে বাঁচতে আরও সেনা পাকিস্তান ও উজবেকিস্তানে আশ্রয় নেওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
এদিকে সেপ্টেম্বরের সময়সীমাকে সামনে রেখে আফগানিস্তানে মোতায়েন আন্তর্জাতিক বাহিনীর বেশিরভাগকেই সেখান থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। কিন্তু তালেবানের সঙ্গে সরকারি বাহিনীর লড়াই যদি আরও তীব্র হয়, তাহলে শরণার্থীর ঢল সীমান্ত অতিক্রম করে আশেপাশের দেশে চলে যেতে পারে। আর মধ্য এশিয়ার দেশগুলো এখন থেকেই সেই পরিস্থিতির জন্য তৈরি হচ্ছে।