ক্যানবেরায় বাঙালির মুক্তির মহানায়ককে স্মরণ
অস্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরায় স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালিত হয়। এ উপলক্ষে আজ রোববার বাংলাদেশ হাইকমিশনের উদ্যোগে ভার্চুয়ালি একটি স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় বঙ্গবন্ধুর কর্মময় জীবনের ওপর হাইকমিশনারসহ অস্ট্রেলিয়ায় প্রবাসী বাংলাদেশিরা আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন। আলোচকরা জাতির জনকের কিংবদন্তি নেতৃত্ব ও অবদান নিয়ে আলোচনা করেন। তাঁর প্রজ্ঞা এবং আপোষহীন নেতৃত্বের প্রশংসা করেন।
এ সময় বক্তারা বলেন, বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে। বঙ্গবন্ধুর দূরদর্শী, সাহসী নেতৃত্বে বাঙালি জাতি আজ স্বাধীন রাষ্ট্র পেয়েছে।
বক্তারা আরও বলেন, ঘাতকচক্র বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করলেও তাঁর স্বপ্ন ও আদর্শের মৃত্যু ঘটাতে পারেনি। শোককে শক্তিতে পরিণত করে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিনিয়ত এগিয়ে যাচ্ছে।
আলোচনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অস্ট্রেলিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোহাম্মদ শফিউর রহমান। তিনি বঙ্গবন্ধুসহ ১৫ আগস্টে নিহত সব শহীদের প্রতি শোকাহত চিত্তে গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন ও তাঁদের রুহের মাগফেরাত কামনা করেন।
মোহাম্মদ শফিউর রহমান বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু এ জাতির মুক্তির সনদ হিসেবে কিছু আদর্শগত নির্দেশনা দিয়েছেন। যার ভিত্তিতে জননেত্রী শেখ হাসিনা একটি প্রগতিশীল সমাজ গঠন ও সক্ষম রাষ্ট্র পরিচালনা করছেন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ যথার্থভাবে প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে বাংলার মানুষের মুক্তি সম্ভব। এ লক্ষ্যে সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে অঙ্গীকারাবদ্ধ হতে হবে।’
এর আগে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের শহীদ সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন এবং তাঁদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনানো হয়।