বিদেশিদের আফগানিস্তান ত্যাগে অনুমতি তালেবান সরকারের
আফগানিস্তানে এখনও রয়ে যাওয়া ২০০ মার্কিন ও অন্য বিদেশি নাগরিকদের যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটি থেকে সরিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে সম্মতি দিয়েছে নতুন তালেবান সরকার।
যুক্তরাষ্ট্রের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার কাবুল বিমানবন্দর থেকে ভাড়া করা বিমানে এসব বিদেশিদের সরিয়ে নেওয়ার সব প্রস্তুতিও সম্পন্ন হয়েছে।
গত মাসে তালেবান আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর এসব বিদেশিদের নিয়ে উড়াল দেওয়া ফ্লাইটগুলোই কাবুল থেকে ছেড়ে যাওয়া প্রথম আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের মধ্যে স্থান করে নিতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
গত ১৫ আগস্ট তালেবান কাবুল দখল করলে সেসময় যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে চলা বিদেশি নাগরিক, কূটনীতিক ও তাদের আফগান সহযোগীদের দেশটি থেকে সরিয়ে নেওয়ার কার্যক্রমে ভয়াবহ বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। এরপরও ৩১ অগাস্ট পর্যন্ত এক লাখ ২৪ হাজার বিদেশি ও ঝুঁকিতে থাকা আফগানদের সরিয়ে নিতে পারে তারা।
মঙ্গলবার তালেবান আফগানিস্তানের নতুন অন্তর্বর্তী মন্ত্রিসভার সদস্যদের নামও ঘোষণা করে। ওই মন্ত্রিসভায় স্থান পাওয়া বেশিরভাগই পশতুন জাতিগোষ্ঠীর পুরুষ সদস্য, যাদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ‘ওয়ান্টেড লিস্টে’ থাকা বেশ কয়েকজন স্থান করে নিয়েছেন।
তালেবান প্রশাসন এবার আগের তুলনায় অনেক বেশি উদার হবে- আন্তর্জাতিক মহলের এই প্রত্যাশায় অন্তর্বর্তী এ মন্ত্রিসভা পানিও ঢেলে দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছে রয়টার্স।
বিদেশিদের আফগানিস্তান ছাড়তে অনুমতি দিতে যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ প্রতিনিধি জালমে খলিলজাদ তালেবানের ওপর ব্যাপক চাপ সৃষ্টি করেছিলেন বলে জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই মার্কিন কর্মকর্তা।
যাদের আফগানিস্তান ছাড়তে দিতে তালেবান সম্মত হয়েছে, তাদের মধ্যে আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলীয় শহর মাজার-ই-শরিফে দিনকয়েক ধরে আটকা মার্কিন বেসামরিক নাগরিক ও অন্য বিদেশিরা আছেন কিনা, ওই কর্মকর্তা তা জানাতে পারেননি।
ওই বিদেশিদের ভাড়া করা বিমানগুলো আফগানিস্তান ছাড়ার অনুমতি না পাওয়ায় তারা মাজার-ই-শরিফে আটকা পড়ে আছেন।