বান্দরবান পৌরসভায় চাচা-ভাতিজার লড়াই
চাচা-ভাতিজার লড়াই জমে উঠেছে বান্দরবান পৌরসভা নির্বাচন। পৌরসভার সাত নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদের জন্য লড়ছেন চাচা ইউসুফ আলী সিকদার এবং ভাতিজা মো. শামীম হোসেন। রাজনৈতিক মতাদর্শ ভিন্ন হওয়ায় চাচা লড়ছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর পদপ্রার্থী হয়ে এবং ভাতিজা বিএনপির সমর্থিত কাউন্সিলর পদপ্রার্থী হিসেবে। আত্মীয়তার সম্পর্ক ছাড়া চাচা-ভাতিজা দুজনের রাজনৈতিক পদেরও মিল রয়েছে দারুণভাবে। চাচা ইউসুফ আলী সিকদার আওয়ামী লীগের সাত নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি এবং আওয়ামী লীগের পৌরশাখা কমিটির বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক। আর ভাতিজা মো. শামীম হোসেন বিএনপির সাত নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি এবং বিএনপির পৌর কমিটির যুগ্ম সম্পাদক। এ ছাড়া এই ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের আরো দুজন বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছেন শ্রমিক লীগের পৌর সভাপতি সামসুল হক সামু (স্বতন্ত্র) এবং শ্রমিক লীগের নেতা মোহাম্মদ জলিল (স্বতন্ত্র)।
স্থানীয় লোকজন জানায়, সাত নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদপ্রার্থী চারজন হলেও লড়াই হবে চাচা-ভাতিজার মধ্যে। দুজনই বড় দুটি দলের সমর্থনে প্রার্থী হওয়ায় লড়াই আরো জমে উঠেছে।
এদিকে, নির্বাচনের আরো বেশকিছু দিন বাকি থাকলেও নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা জমে উঠেছে এ ওয়ার্ডে। আর্মিপাড়া, শেরে বাংলানগর, ওয়াপদাব্রিজ এবং মেম্বারপাড়ার একাংশ নিয়ে গঠিত ওয়ার্ডের চায়ের দোকানগুলোতে উত্তাপ ছড়াচ্ছে নির্বাচনের। গভীররাত পর্যন্ত এলাকাগুলোতে দোকানে চায়ের কাপে ঝড় তুলছে ভোটার, কর্মী ও সমর্থকরা। বিগত পৌর নির্বাচনগুলোতে চাচা-ভাতিজা দুজন একাধিকবার দলীয় এবং বিদ্রোহী প্রার্থী হলেও কাউন্সিলর হওয়ার স্বপ্ন পূরণ হয়নি দুজনের কারোরই। তবে এবার জয়ের ব্যাপারে সমান আশাবাদী চাচা-ভাতিজা দুজনই।
চাচা ইউসুফ আলী সিকদার বলেন, ‘আত্মীয়তার সম্পর্ক থাকলেও রাজনৈতিক মতাদর্শ দুজনের ভিন্ন। জনগণ আমার সঙ্গে আছেন। সবার ভালোবাসায় জয়ের ব্যাপারে আমি শতভাগ আশাবাদী।’
অপরদিকে, ভাতিজা মো. শামীম হোসেন বলেন, ‘রাজনৈতিক পরিচয় এবং জনগণের জন্য কে কত বেশি আন্তরিক তারই প্রতিফলন ঘটবে ভোটে। ভোটের মাঠে চাচা-ভাতিজার পরিচয় গুরুত্ব পাবে না। জয়ের ব্যাপারে আমার শতভাগ আত্মবিশ্বাস আছে।’
এদিকে, সদর উপজেলা নির্বাচন অফিসার রিয়াজ উদ্দিন জানান, ৭ নম্বর ওয়ার্ডে মোট ভোটার সংখ্যা হচ্ছে দুই হাজার ৩২৭। তার মধ্যে পুরুষ এক হাজার ৪৪০ এবং নারী ৮৮৭ জন। ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা একটি এবং বুথকক্ষের সংখ্যা হবে সাতটি।