টাইমের পারসন অব দ্য ইয়ার হলেন অ্যাঙ্গেলা মেরকেল
প্রভাবশালী মার্কিন সাময়িকী ‘টাইম’-এর পারসন অব দ্য ইয়ার নির্বাচিত হয়েছেন জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেল। বছরের শুরুতে ইউরোপের ঋণ সংকট এবং পরবর্তী সময়ে মধ্যপ্রাচ্যের শরণার্থী সংকটে জোরালো ভূমিকা রেখে বছরজুড়েই তিনি আলোচনায় ছিলেন। আর এই কারণেই ৬১ বছর বয়সী জার্মান নেতাকে বেছে নিয়েছে টাইম।
আজ বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম ‘টুডে নিউজে’র এক সাক্ষাৎকারে টাইম সাময়িকীর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক ন্যান্সি গিবস বলেন, ঋণ সংকটে জোরালো ভূমিকা রেখেছেন জার্মান চ্যান্সেলর। আবার শরণার্থী সংকটে দেশের সীমান্ত খুলে দিয়ে আলোচিত ও সমালোচিত দুই হয়েছেন অ্যাঙ্গেলা মেরকেল।
ন্যান্সি গিবস বলেন, চলতি বছর বিশ্বের সব বড় নেতাকেই কঠিন পরীক্ষার মধ্যে দিতে যেতে হয়েছে। তবে অ্যাঙ্গেলা মেরকেলের মতো এতটা কঠিন পরীক্ষায় সম্মুখীন কেউই হয়নি। ইউরোপের শান্তি ও নিরাপত্তার পুরো দায়িত্বই ছিল তাঁর ওপর। আর বছরের শেষে এসে ইউরোপে ক্রমবর্ধমান নিরাপত্তা সংকট নিরসনে লড়ছেন মেরকেল।
ন্যান্সি গিবস আরো বলেন, বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ জার্মানির দীর্ঘদিন ধরে নেতৃত্বে আছেন অ্যাঙ্গেলা মেরকেল। পশ্চিমা বিশ্বের দীর্ঘতম সময় নেতৃত্বে থাকা নেতাও তিনি। তবে এ বছর সব ক্ষেত্রেই তাঁর এমন পদচারণা ছিল যা আগে কখনোই দেখা যায়নি। এ বছর তিনি এমন কিছু বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যা ছিল তাঁর নেতৃত্বের জন্য হুমকির। তবে বেশ কঠোরভাবেই সমাধান করেছেন সব।
টুডে নিউজ জানিয়েছে, এই প্রথম একক নারী হিসেবে পারসন অব দ্য ইয়ার হলেন মেরকেল। ১৯৯৯ সালে টাইমের শিরোনাম ‘ম্যান অব দ্য ইয়ার’ বদলে ‘পারসন অব দ্য ইয়ার’ করা হয়। এর পরে নারীকে এই শিরোনামের জন্য বাছাই করা হলেও তা ছিল দলগত। এর আগে ইবোলার চিকিৎসকরা পারসন অব দ্য ইয়ার নির্বাচিত হয়েছেন।
সাবেক বিজ্ঞানী অ্যাঙ্গেলা মেরকেল ২০০৫ সাল থেকে জার্মান চ্যান্সেলর পদে আছেন। তিনিই এই পদে প্রথম নারী। রাসায়নবিদ্যায় পিইডি অর্জনের পর ১৯৮৯ সালে তিনি রাজনীতিতে আসেন। ’৯০-এর দশকে তিনি ছিলেন পূর্ব জার্মানির প্রথম গণতান্ত্রিক সরকারের সহকারী মুখপাত্র। ২০০৫ সালে তাঁর দল ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্রেটিক ইউনিয়ন ক্ষমতায় আসে এবং দলটির প্রথম নারীপ্রধান হিসেবে চ্যান্সেলর হন মেরকেল।