ঠাকুরগাঁওয়ে ১৩ ছাত্রীর করোনা : একদিন বন্ধের পর আবারও শ্রেণিকক্ষে পাঠদান
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার তিনটি বিদ্যালয়ের ১৩ ছাত্রীর করোনা শনাক্ত করা হয়েছিল গত সোমবার ও মঙ্গলবার। এরপর ওই তিন বিদ্যালয়ের একটিতে পাঠদান চললেও গত বৃহস্পতিবার বাকি দুই বিদ্যালয়ের কয়েকটি শ্রেণিতে পাঠদান বন্ধ থাকে। এক দিন পাঠদান বন্ধ থাকার পর আজ শনিবার থেকে ওই দুই বিদ্যালয়ে আবারও পুরোদমে পাঠদান শুরু হয়েছে।
জানা গেছে, যে ১৩ ছাত্রীর করোনা শনাক্ত করা হয়েছিল তারা শহরের বাহাদুরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হাজীপাড়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় ও সোনালী শৈশব বিদ্যালয়ের ছাত্রী। এ ছাড়া তারা সবাই ঠাকুরগাঁও সরকারি বালিকা শিশু পরিবারের বলে জানা গেছে।
এদিকে, আজ শনিবার সকাল থেকে সব শ্রেণির শিক্ষার্থীরা ওই দুই বিদ্যালয়ে আসতে শুরু করে। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ স্বাস্থ্যবিধি মেনে শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের প্রবেশ করতে দেয়। এরপর সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে শ্রেণিতে পাঠদান শুরু হয়। এর আগে গতকাল শুক্রবার রাতে জেলা প্রশাসনের জরুরি বৈঠকে পাঠদান শুরু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
গত ১৬ সেপ্টেম্বর ঠাকুরগাঁও সরকারি বালিকা শিশু পরিবারে থাকা শিক্ষার্থীদের মধ্যে করোনার উপসর্গ দেখা দিলে ২৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এরপর গত সোমবার নয় জনের এবং মঙ্গলবার চার জনের করোনা শনাক্ত করা হয়। এর মধ্যে শহরের বাহাদুরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঁচ ছাত্রী, হাজীপাড়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের পাঁচ ছাত্রী এবং সোনালী শৈশব বিদ্যালয়ের তিন ছাত্রী রয়েছে। এরপর গত বৃহস্পতিবার হাজীপাড়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের পাঠদান চালু থাকলেও বাহাদুরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ ও পঞ্চম এবং সোনালী শৈশব বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ, নবম ও দশম শ্রেণির পাঠদান বন্ধ রাখা হয়।
বাহাদুরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফারহানা পারভীন জানান, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী শ্রেণিকক্ষে পাঠদান করা হচ্ছে। বিদ্যালয়ে উপস্থিতি সন্তোষজনক বলেও জানান তিনি।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘জেলা প্রশাসনের জরুরি বৈঠকে পাঠদান করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তাই গত বৃহস্পতিবার শ্রেণিকক্ষে পাঠদান বন্ধ রাখার পর আজ শনিবার আবারও শুরু হয়েছে। করোনায় আক্রান্তদের এবং তাদের সংস্পর্শে যারা এসেছে, তাদের আইসোলেশনে রাখা হয়েছে।’ করোনায় আক্রান্ত হওয়া শিক্ষার্থীরা সুস্থ রয়েছে বলেও জানান তিনি।