কুষ্টিয়া পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলীসহ তিনজনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
কুষ্টিয়ার পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী ও তাঁর স্ত্রী এবং সার্ভেয়ারের স্ত্রীর বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন এবং মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে পৃথক দুটি মামলা করেছে জেলা দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
গত সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টায় কুষ্টিয়া জেলা দায়রা জজ বিশেষ আদালতের বিচারক শেখ আবু তাহেরের আদালতে দুদক কুষ্টিয়ার উপসহকারী পরিচালক নীল কমল পাল একটি এজাহার দেন। আদালত আজ বুধবার এজাহারটি আমলে নিয়ে আগামী সপ্তাহে শুনানি শেষে আদেশের দিন ধার্য করবেন বলে নিশ্চিত করেছেন দুদক কুষ্টিয়ার উপপরিচালক মো. জাকারিয়া।
দুদকের করা পৃথক দুটি মামলায় এজাহারভুক্ত আসামিরা হলেন কুষ্টিয়া পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম (৫৫) ও তার স্ত্রী মোছা. কামরুন্নাহার (৪৫)। তাদের বাড়ি সদর উপজেলার গোপালপুর গ্রামে। বর্তমান ঠিকানা হাউজিং ভবন নং ৭৯, ব্লক ডি এবং কুষ্টিয়া পৌরসভার সার্ভেয়ার আব্দুল মান্নানের স্ত্রী মোছা. রূপালী খাতুন (৪৩)।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৪ সালের ১ অক্টোবর হতে ২০১৯ সালের ২ ডিসেম্বর সময়কালে কুষ্টিয়া পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম ও তার স্ত্রী কামরুন্নাহার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত ৫২ লাখ ১৬ হাজার ৫৭৩ টাকার সম্পদ অর্জন করেন। অপর মামলায় ২০০৪ সালের ১০ অক্টোবর থেকে ২০১৯ সালের ৪ নভেম্বর পর্যন্ত সময়কালের মধ্যে কুষ্টিয়া পৌরসভায় কর্মরত সার্ভেয়ার আব্দুল মান্নানের স্ত্রী রূপালী খাতুন জ্ঞাত আয় বহির্ভূত ৭২ লাখ ৩২ হাজার ৬৪৮ টাকার সম্পদ অর্জন করেন এবং অন্যান্য সম্পদ বিভিন্নজনের কাছে হস্তান্তর ও রূপান্তরসহ স্থানান্তর করে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে অপরাধ করেছেন।
দুদক কুষ্টিয়ার কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট আল মুজাহিদ হোসেন মিঠু মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, দুদকের সব মামলাই চূড়ান্তভাবে আদালতে দাখিলের আগে নিবির পর্যবেক্ষণ ও বিচক্ষণতার সঙ্গে তদন্তকারী কর্মকর্তারা তদন্ত করেন। যেসব ক্ষেত্রে তদন্তে সত্যতা আছে বলে প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয় সেগুলোই চূড়ান্ত মামলা হিসেবে আদালতে দাখিল করা হয়। এই মামলার ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে বিজ্ঞ আদালত আগামী সপ্তাহে শুনানি শেষে আদেশের দিন ধার্য করা হবে বলে আদেশ দেন। আদালতের আদেশ অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেবেন সংশ্লিষ্ট দুদক কর্মকতারা।