চীনা কৃষকদের জমি লিজ না দেওয়ার আহ্বান জানালেন লাওসের কৃষকেরা
অফ সিজনে বা ফসল উত্তোলন মৌসুম শেষে চীনা কৃষকদের কাছে নিজেদের জমি লিজ না দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন লাওসের কৃষকেরা। এ প্রক্রিয়ায় ক্রমাগত ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে আসায় এমন দাবি জানালেন তাঁরা। এক প্রতিবেদনে এই খবর দিয়েছে সিঙ্গাপুর পোস্ট।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতি বছর মৌসুম শেষে লাওসের নিজুন অঞ্চলের ১৮০ হেক্টর জমি চীনা কৃষকদের কাছে লিজ দেওয়া হয়। তাঁরা সেখানে তরমুজের চাষাবাদ করেন। এ জন্য লাওসের কৃষকেরা সামান্য কিছু অর্থ পান। তবে লাওসের কৃষকদের অভিযোগ—চীনারা মাটির এতটা গভীর পর্যন্ত খনন করে যে, সেগুলো ভরাটে অনেক সময়, শ্রম ও অর্থ ব্যয় করতে হয় লাওসবাসীকে। এ ছাড়া এতটা গভীরে খননের কারণে জমির উর্বরতা শক্তিও ব্যপকভাবে হ্রাস পাচ্ছে। ফলে, নতুন করে চীনাদের কাছে আর জমি লিজে না দিতে স্থানীয় সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন কৃষকেরা।
লাওসের একজন কৃষক বলেন, ‘চাষাবাদ শেষে যখন ধানের মৌসুম, তখন তারা আমাদের জমি ফেরত দিয়ে থাকে। কিন্তু, তখন মাটির উর্বরতা অনেক কমে যায়।’
অপর এক কৃষক বলেন, ‘তারা যেভাবে চাষাবাদ করছে, এভাবে চলতে থাকলে আমাদের জমিতে আর ফসল ফলবে না। মাটি একদমই অনুর্বর হয়ে পড়বে।’
এ তো গেল চাষাবাদ আর জমির অনুর্বরতার সমস্যা। স্থানীয় কৃষকেরা আরও অভিযোগ করেছেন যে, চীনের বিভিন্ন প্রদেশ থেকে তরমুজের খামারে কাজ করতে আসা শ্রমিকেরা মাঝে মধ্যেই পশুপালসহ গ্রামবাসীর সম্পদ চুরি করে। এ ছাড়া মাঠ থেকে তাঁদের থাকার জায়গা দূরে হওয়ায় তাঁরা গ্রামের বিভিন্ন স্থানে মলমূত্র ত্যাগ করেন। ফলে গ্রামগুলোতে এক অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ তৈরি হয়েছে। এ কারণে, নিজেদের জমির উর্বরতা শক্তি ধরে রাখতে এবং গ্রামের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে চীনা কৃষকদের কাছে নিজেদের চাষাবাদের জমি লিজ না দেওয়ার এই দাবি জানালেন লাওসের কৃষকেরা।