পূজামণ্ডপে হামলা : চট্টগ্রামে ছাত্র-যুব অধিকারের সাতজন রিমান্ডে
চট্টগ্রামে পূজামণ্ডপে হামলার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ছাত্র-যুব ও শ্রমিক অধিকার পরিষদের ১০ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পরে তাদের মধ্যে সাতজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একদিন করে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো যুব অধিকার পরিষদ চট্টগ্রাম মহানগরের আহ্বায়ক মো. নাছির, সদস্য সচিব মিজানুর রহমান, বায়েজিদ বোস্তামী থানার আহ্বায়ক মো. রাসেল, নগর ছাত্র অধিকার আন্দোলনের দপ্তর সম্পাদক মো. ইমন, কর্মী ইয়ার মোহাম্মদ, জিয়া উদ্দিন, ইয়াসিন আরাফাত, হাবিবুল্লাহ, ইমরান হোসেন ও মো. মিজান।
আজ শুক্রবার কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নেজাম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে চট্টগ্রামের সাতকানিয়াসহ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হকের নেতৃত্বাধীন ছাত্র-যুব অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীসহ ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে তাদের শনাক্ত করা হয়।
ওসি আরও জানান, পরে আজ তাদের মধ্যে সাতজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। সাতজনের মধ্যে নাছির, মিজানুর, রাসেল, ইমন রয়েছে।
পুলিশ জানায়, কুমিল্লার ঘটনার জেরে গত ১৫ অক্টোবর দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর আন্দরকিল্লা জে এম সেন হল পূজামণ্ডপে হামলা, গেটের ব্যানার ছিঁড়ে ফেলা ও মণ্ডপে ঢিল ছোড়া হয়। পরদিন ১৬ অক্টোবর পুলিশ বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় ৮৪ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করে। এ ছাড়া অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয় ৫০০ জনকে। নাম উল্লেখ করা আসামিদের বেশিরভাগই নগরের বৃহৎ পাইকারি কাপড়ের বাজার টেরিবাজার ও আন্দরকিল্লা মসজিদ মার্কেটের দোকানের মালিক ও কর্মচারী।
মামলার এজাহারে ঘটনার বর্ণনায় বলা হয়, জুমার নামাজের পর আন্দরকিল্লা শাহি জামে মসজিদের সামনে ৪০০ থেকে ৫০০ লোক হাতে লাঠিসোটা ও ইটপাটকেল নিয়ে শ্লোগান দিতে থাকেন। তারা মসজিদের সামনে রাস্তায় ব্যারিকেড দেয়। বাধা দিলে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে পুলিশের কয়েক জন সদস্য আহত হয়। পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ফাঁকা গুলি ছোড়ে। একপর্যায়ে তাঁরা চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের পুরোনো কার্যালয়ের গেট ভেঙে সেখানে ঢুকে ভাঙচুরের চেষ্টা করে।