জার্মানিতে আইএসের নারী সদস্যের ১০ বছরের কারাদণ্ড
জার্মানির মিউনিখের একটি আদালত আইএসের একজন নারী সদস্যকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন। পাঁচ বছর বয়সী এক ইয়াজিদি শিশুকে তিনি ও তার স্বামী প্রখর রোদে বেঁধে রেখে হত্যা করেছেন—এমন অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত এ রায় দেন।
জানা গছে, ওই নারী জার্মানির নাগরিক হলেও পরবর্তী সময়ে আইএসে যোগ দেন। সোমবার কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
মিউনিখের একটি আঞ্চলিক আদালত ৩০ বছর বয়সী জেনিফার ওয়েনিশকে দোষী সাব্যস্ত করে এ দণ্ডাদেশ দেন। বলা হয় ইয়াজিদি সম্প্রদায়ের ওপর আইএসের নিপীড়নের বিষয়ে এটাই বিশ্বের প্রথম রায়।
ওয়েনিশ ও তার স্বামী তাহা আল-জুমাইলি ওই শিশু ও একজন ইয়াজিদি নারীকে গৃহস্থালির কাজের জন্য ক্রীতদাস হিসেবে কিনেছিল। ২০১৫ সালে ইরাকের তৎকালীন আইএস অধিকৃত মসুলে বসবাস করতো তারা। সে সময় কৃতদাস হিসেবে শিশুটি ও ওই নারীকে বন্দি করে রেখেছিল তারা।
ফেডারেল প্রসিকিউটররা বলেন, শিশুটিকে প্রথমে একটি আঙিনায় বেঁধে রেখে তাকে তৃষ্ণার্ত অবস্থায় মারার চেষ্টা করা হয়। এর পর শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়লে অভিযুক্তের স্বামী শাস্তি হিসেবে বাইরে প্রখর রোধে বেঁধে রাখে। তারপর তীব্র তাপদাহে তৃষ্ণার্ত অবস্থায় যন্ত্রণাদায়ক মৃত্যু হয় শিশুটির।