মিষ্টির খালি প্যাকেটের ওজনই ২০০ গ্রাম!
মিষ্টি দেওয়ার খালি একটি প্যাকেট বা বক্সের ওজনই ২০০ গ্রাম। এই প্যাকেটে করে কেউ এক কেজি মিষ্টি কিনলে তিনি পেতেন ৮০০ গ্রাম। অথচ তার কাছ থেকে ঠিকই এক কেজি মিষ্টির দাম রাখতেন বিক্রেতা।
প্রতারণার এই ঘটনাটি কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলার কালিকাপ্রসাদ ইউনিয়নের চকবাজারের। ভোক্তাদের সঙ্গে প্রতারণার দায়ে বাজারের ফাইরুজ মিষ্টান্ন ও কনফেকশনারির মালিক মাঈন উদ্দিনকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ ছাড়া নিয়ম না মেনে যত্রতত্র এলপি গ্যাসের সিলিন্ডার বিক্রি করার দায়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত তিন প্রতিষ্ঠানকে ২১ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন।
আজ রোববার বিকেলে চকবাজারে অভিযান চালান ভৈরব উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জুলহাস হোসেন সৌরভ।
ভ্রাম্যমাণ আদালত-সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, নিয়ম না মেনে দোকানে গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রির দায়ে কালিকাপ্রসাদ ইউনিয়নের চকবাজারের আব্দুল্লাহ স্টোরের মালিক আব্দুল্লাহ মিয়াকে ১০ হাজার, শাহাদাত স্টোরের মালিক হামিদ মিয়াকে পাঁচ হাজার ও ভাই ভাই স্টোরের মালিক রমজান মিয়াকে ছয় হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনায় সহযোগিতা করে ভৈরব থানা পুলিশ।
এ বিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জুলহাস হোসেন সৌরভ বলেন, ‘কোনো অনুমোদন ছাড়াই মুদি দোকান, হার্ডওয়্যারের দোকান, চালের দোকানসহ বিভিন্ন দোকানে যত্রতত্র বিক্রি হচ্ছে গ্যাস সিলিন্ডার। নিয়ম না মেনে এসব গ্যাস সিলিন্ডারের বিক্রি করলে যে কোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। যার কারণে নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে এসব অবৈধ গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হয়। এ সময় গ্যাস সিলিন্ডারের তিনটি প্রতিষ্ঠানকে ২১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।’
এ ছাড়া ২০০ গ্রাম ওজনের ভারী প্যাকেটে মিষ্টি বিক্রি করে ভোক্তাদের সঙ্গে প্রতারণা করার দায়ে মিষ্টির দোকানের মালিককে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। সামনে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জুলহাস।