অস্ট্রিয়ায় কোভিড টিকা না নেওয়াদের ওপর লকডাউন আরোপ
ইউরোপের দেশ অস্ট্রিয়ায় প্রায় ২০ লাখ মানুষ কোভিড-১৯-এর পূর্ণডোজ টিকা নেননি। আজ সোমবার থেকে তাঁদের ওপর ১০ দিনের লকডাউন আরোপ করা হয়েছে। নতুন করে দেশটিতে করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে অস্ট্রিয়া সরকার। সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
টিকা না পাওয়া লোকজন খাবার কেনা বা কর্মস্থলে যাওয়ার মতো জরুরি কিছু প্রয়োজনে ঘরের বাইরে যেতে পারবেন। এরই মধ্যে টিকা না নেওয়া ব্যক্তিরা রেস্তোরাঁ, সেলুন এবং সিনেমা হলে যাওয়ার অনুমতি পাচ্ছেন না। এখন তাঁদের ঘরে থাকতে বলা হয়েছে।
তবে, ১২ বছরের কম বয়সি এবং যাঁরা সম্প্রতি করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়েছেন, তাঁদের লকডাউনের শর্ত মানতে হবে না।
অস্ট্রিয়ার সরকার বলছে, জনসমাগমে পুলিশ টিকা কার্ড চেক করবে।
পশ্চিম ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে অস্ট্রিয়ার টিকাদানের হার তেমন ভাল নয়। দেশটির জনসংখ্যার প্রায় ৬৫ শতাংশকে পূর্ণডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, গত সাত দিনে অস্ট্রিয়ায় গড়ে প্রতি লাখ জনসংখ্যায় ৮০০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। গোটা ইউরোপের মধ্যে অন্যতম সর্বোচ্চ সংক্রমণের দেশ হয়ে দাঁড়িয়েছে অস্ট্রিয়া। এরই মধ্যে দেশটির হাসপাতালগুলো রোগীর চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে।
দেশটির চ্যান্সেলর আলেক্সান্দার শেলেনবার্গ বলেছেন, ‘আমরা এ পদক্ষেপ হালকাভাবে নিচ্ছি না। দুর্ভাগ্যজনকভাবে এটা জরুরি হয়ে পড়েছে। আসলে আমরা এক-তৃতীয়াংশ মানুষকে বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে যেতে মানা করেছি।’
এদিকে, টিকা নেওয়া নিয়ে এবং লকডাউন আরোপের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে চ্যান্সেলরের বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ করেছেন বেশকিছু লোকজন। তাঁদের ব্যানারে লেখা, ‘শরীর আমাদের, সিদ্ধান্ত নেওয়ার স্বাধীনতাও আমাদের।’
নতুন ধরনের এ লকডাউন সংবিধানসম্মত কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ডানপন্থি ফ্রিডম পার্টি বলছে, এ সিদ্ধান্তের ফলে নাগরিকদের মধ্যে দ্বিতীয় শ্রেণি তৈরি হবে।