নির্বাচন করতে গিয়ে কর্মী মারা গেলে ১০ লাখ টাকা দিবেন ইউপি চেয়ারম্যান!
নির্বাচন ব্যাপারে কোনো কর্মী যদি নিহত হন তবে তাকে ১০ লাখ টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন মুন্সীগঞ্জের সিরাজদীখান উপজেলার বাসাইল ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম যুবরাজ। তিনি ও আগামী ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিতব্য চতুর্থ ধাপের ইউপি নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান পদপ্রাথী হতে আগ্রহী।
চেয়ারম্যান বলেন, ‘এই নির্বাচন ব্যাপারে একটা লোক মারা যেতে পারে? আমার কর্মী যারা তাদের একটা লিস্ট আছে। এই লিস্টটা করতাছি। এই কর্মীদের ভিতর যদি কেউ আমার নির্বাচন করতে গিয়ে কেউ মারা যান তাহলে ১০ লাখ টাকা পরিবারকে দিব। আর যদি খুনাখুনি বা বাইরাবাইরি করে হাসপাতালে ভর্তি থাকেন তাহলে আমি তার চিকিৎসার সম্পূর্ণ খরচ বহন করব। এমনকি সংসারের খরচও আমি চালাব।’
চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘আমি মাইট্টা ঢোড়া সাপ। চুপ করে শুয়ে থাকি, আর যখন কামড় মারি তখন মাংসসহ ছিঁড়ে ফেলি।’
গত কিছুদিন ধরে চেয়ারম্যান নির্বাচন উপলক্ষে এক সভায় কর্মীদের উদ্দেশ্যে এমন বক্তব্য দেন ওই চেয়ারম্যান। সম্প্রতি তার উস্কানিমূলক বক্তব্যের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।
নির্বাচনকে সামনে রেখে ইউপি চেয়ারম্যানের এমন বক্তব্য নির্বাচনী সহিংসতার ইঙ্গিত বহন করেছে। এতে করে ইউপি নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছে স্থানীয়রা।
এ ব্যাপার বাসাইল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম যুবরাজ বলেন, ‘আমার জন্য নির্বাচন করতে গিয়ে তারা যদি ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তাদের সাহায্য করা আমার দায়িত্ব। তাই কেউ যদি আমার নির্বাচন করতে গিয়ে মারা যান তাহলে তার পরিবারকে আমি ১০ লাখ টাকা দিব। আমি তো কাউকে বলিনি যে মাইরা আস তোমাকে আমি ১০ লাখ টাকা দিব। তাই কেউ যদি মারা যান আমার কারণে তার পরিবারকে আমি ১০ লাখ টাকা দিব এটা বলেছি। কেউ যদি আহত হয় তার পাশে আমি দাঁড়াব।’
সিরাজদীখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ বোরহান উদ্দিন বলেন, ‘আমরা কোনো প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে দিব না। তাই সবাইকে বলব উস্কানিমূলক কথা যেন কেউ না বলি। যদি এ রকম কোনো কথা বাসাইল ইউপির চেয়ারম্যান বলে থাকেন তাহলে আমরা পর্যবেক্ষণ করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’