নির্বাসনের দিনগুলো ও হৃদয়বিদারক ১৫ আগস্টের কালো রাত
আমরা একদিন দুপুরবেলা খাওয়া-দাওয়া সেরে সামনের ঘরে খেলছি। হঠাৎ দেখি, কে যেন বাইরের দরজায় করা নাড়ছে। শুনলাম, পাশের ঘরে কান্নার আওয়াজ। দৌড়ে দাদির ঘরে গিয়ে দেখি, দাদি একটা দাড়ি ও লম্বা চুলওয়ালা অল্প বয়সী লোককে ধরে কাঁদছে। আমার বেশ খানিকটা সময় লাগল চিনতে যে লোকটা আমার মারুফ কাকা। ১৫ আগস্টের পর মারুফ কাকার সঙ্গে মনে হয় ওই প্রথম আমার দেখা। মারুফ কাকাকে চেনাই যাচ্ছিল না। তাঁর যে জংলি অবস্থা! সারা শরীরে তাঁর দাগ আর ক্ষত। পরে শুনলাম, মারুফ কাকা যুদ্ধে গিয়েছিলেন। তিনি কাদের সিদ্দিকীর বাহিনীতে যোগ দিয়ে বঙ্গবন্ধু-হত্যার প্রতিশোধ নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। মারুফ কাকা ’৭১ আর ’৭৫-এ মোট দুবার যুদ্ধ করেছেন। শুধু ’৭৫-এ তিনি দুবার তাঁর বাহিনী নিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টা করেন প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য। দুর্ভাগ্যবশত দুবারই সেই প্রচেষ্টা বিফল হয়।
চাচি আমাদের বিভিন্নভাবে ভুলিয়ে রাখতে চেষ্টা করতেন। চাচির প্রধান লক্ষ্য ছিল আমাদের যেন মন খারাপ না হয়; কান্নাকাটি না করি। সুভাষ (শেখ ফাহিম, এফবিসিসিআইয়ের প্রেসিডেন্ট) তখন ছয় মাসের হবে। সেলিম কাকা আর দাদির কাছে সুভাষকে রেখে আমাদের সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য সার্কাস দেখতে, অমিতাভ বচ্চনের সিনেমা দেখতে আর শিশুপার্কে নিয়ে যেতেন। আমরা কোনো কিছুতেই ‘না’ করতাম না। চাচি আমাদের মায়ের মতোই ভালোবাসতেন। কারও বোঝার উপায় ছিল না যে আমরা চাচির সন্তান না। ২৪ ঘণ্টা চাচি আমাদের পেছনে সময় দিতেন। শুধু রাতে ঘুমাতাম দাদি আর রেখা ফুফুর সঙ্গে। চাচি সারাক্ষণ আমাদের আগলে রাখতেন।
মায়ের শেষ কথাটা, ‘আমার পরশ-তাপসকে তুমি দেইখো’, চাচি অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছেন।
একদিন চাচি আর রেখা ফুফু আমাদের নিয়ে বের হয়েছেন। ব্যস্ত রাস্তাঘাট। রেখা ফুফুও তখন ছোট, ১৫ বছর বয়স হবে। চাচি আর রেখা ফুফু আমাদের দুই ভাইয়ের হাত ধরে রাস্তা পার হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। অস্থির আমি, চাচির হাত থেকে ছুটে দৌড় দিই একটা বাসের সামনে দিয়ে রাস্তার ওপারে। বাসটা বিকট আওয়াজ করে কষে ব্রেক করে। চাচি আর রেখা ফুফু সেদিন বড্ড ভয় পেয়েছিলেন। চাচি তো রীতিমতো কাঁপছিলেন। তিনি কেঁদে বলছিলেন, ‘আমার শাশুড়িকে আমি কী জবাব দিতাম, যদি কিছু হইত।’
তখন বুঝলাম, আমার এমনটা করা উচিত হয়নি। দেখতে দেখতে এভাবে বছরখানেক পেরিয়ে যায়। আমাদেরও বাসা পরিবর্তন করার সময় চলে আসে। বাসা পরিবর্তন করা মানেই মায়ার টানাপোড়েন। আমার তন্দ্রা কাকি আর নান্টুকে ছেড়ে আসতে খারাপ লাগছিল। আমরা বাঙ্গরের আর একটা এলাকায় বাসা নিই। নতুন বাসাটা দোতলা। বেশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পরিবেশ আর নতুন এলাকা। আশপাশের প্রতিবেশীরা বন্ধুত্বপূর্ণভাবে আমাদের গ্রহণ করল। আমাদের মা-বাবা না থাকার ঘটনাটা মনে হয় ওরা জানত।
আমরা নিজেরাই তখনো সম্পূর্ণরূপে নিশ্চিত নই ব্যাপারটাতে। আমি শুধু এটুকু বুঝতাম, মানুষ আমাদের একটু আলাদা চোখেই দেখত, আর আমাদের একটু বেশি মায়া করত। ওখানে আশপাশে অনেকগুলো পরিবার, বেশির ভাগই অল্পবয়স্ক মেয়ে। চাচি ও রেখা ফুফুর সঙ্গে ওদের ভালো সখ্য হয়ে গেল। আমার বয়সী মনে হয় তেমন ছেলেপেলে ছিল না। বা থাকলেও ওদের সঙ্গে আমার নান্টুর মতো বন্ধুত্ব হলো না।
তবে ওখানে পেলাম অন্য রকম আকর্ষণ। আমাদের ঠিক সামনের বাসাটা একটা বহুতলবিশিষ্ট ফ্ল্যাট বাড়ি। এই বাসায় একটা তেজি সেবেল জার্মান শেফার্ড কুকুর ছিল, নাম মিকি। মিকিকে ঠিক সন্ধ্যার সময় বের করে রাস্তায় ছাড়ত। মিকি আমাদের গেটের সামনে আসত আর আমি ওকে বাসা থেকে এনে পাউরুটি খাওয়াতাম। আমার দারুণ ভালো লাগত। মিকিকে বল ছুড়ে মারলে ও বল নিয়ে আসতে পারত।
মিকিদের পাশের বাসাটা একটা দোতলা বাসা। ওই বাসায় একজন বয়স্ক মহিলা থাকতেন। তাঁরও একটা জার্মান শেফার্ড কুকুর ছিল। ওর নামটা আমার মনে নেই। সাদা আর হালকা বাদামি এই শেফার্ডটার মধ্যে একটা আভিজাত্য ছিল। ও কারও সঙ্গে খেলত না।
ও বাসায় থাকতে আমি দুটি খরগোশ পুষতাম। একদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি, খরগোশ দুটির রক্তাক্ত অর্ধাংশ; উপরের অংশটা শুধু আছে। বড়রা বোঝাল, বিড়াল এসে খাঁচা ভেঙে আমার খরগোশ দুটি খেয়ে গেছে। আমি বিস্মিত হলাম আর সারা দিন কাঁদলাম। এ অভিজ্ঞতা থেকে আমি শিক্ষা নিলাম, আমাকে আরো সতর্ক থাকা উচিত ছিল; ওদের ঘরের ভেতরে আরো নিরাপদে রাখা দরকার ছিল। এটা তখন আমার কল্পনার বাইরে ছিল, বাইরের বিড়াল খরগোশ খাবে।
আরো ছোটবেলা থেকে আমার পশুপাখির প্রতি অনেক ঝোঁক। একবার আমি টুঙ্গিপাড়া থেকে আসার সময় জিদ ও বায়না করে কুকুরের বাচ্চা নিয়ে এসেছিলাম লঞ্চে করে ঢাকায়। ওরাও ১৫ আগস্টের শিকার হয়েছিল। আমার নানা, আবদুর রব সেরনিয়াবাত সাহেবের বাসায়ও দুটি লাল গরু ছিল। একবার আমি গরুগুলোকে ঘাস খাওয়াতে কাছে গিয়েছি। হঠাৎ একটা গরু ছুটে আমাকে তাড়া করেছিল এবং গুঁতাও মেরেছিল। মায়ের কী পেরেশানি! তিনি অনেক ভয় পেয়েছিলেন।
বঙ্গবন্ধু দাদার বাসায় যেতে পছন্দ করার অন্যতম কারণ ছিল, ওখানে অনেক ধরনের জীবজন্তু ছিল। কবুতর, কুকুর, মোরগ-মুরগি এবং অন্যান্য। একবার ওই বাসায় গিয়ে দেখি, একটা মুরগি অনেকগুলো বাচ্চা দিয়েছে। আমি ওদের নিয়ে মাতোয়ারা হয়ে গেলাম এবং ওদের ছাড়া আসতে চাচ্ছিলাম না। আমি বায়না ধরলাম, আমারও ওসব লাগবে। মা তো মহামুসিবতে পড়লেন। আমি কিছুতেই ওদের পিছ ছাড়ি না। মা আমাকে একরকম জোর করে নিয়ে এলেন।
আমি কাঁদতে কাঁদতে ও-বাসা থেকে চলে এলাম। বাসায় আসার পর বিকেলে দেখি আপন দাদি (বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব) মুরগি আর মুরগির বাচ্চাগুলো আমাকে পাঠিয়ে দিয়েছেন। ওই বাসায় আমি আপন দাদির অনেক ভক্ত ছিলাম। উনি আমাকে সবকিছুতে প্রশ্রয় দিতেন। আমার নিজের দাদিকে বাদ দিয়ে উনাকেই ‘আপন দাদি’ বলে ডাকতাম। এই ছিল আমাদের মধুর সম্পর্ক।
আর একজনের আমি খুব ভক্ত ছিলাম, যিনি হচ্ছেন হাসুমণি (জননেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা)। উনি আমার মায়ের শুধু মামাতো বোনই ছিলেন না, মায়ের বান্ধবীও ছিলেন। তাই হাসুমণির কোলে জয়কে (সজীব ওয়াজেদ জয়, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য) দেখলে আমি অভিযোগের সুরে জিজ্ঞেস করতাম, ‘হাসুমণির কোলে জয় কেন?’
হাসুমণির যে গুণটা আমার সবচেয়ে বেশি ভালো লাগত, তা হচ্ছে তাঁর মমত্ববোধ। প্রান্তিক মানুষের প্রতি উনার বিশেষ সমবেদনা ছিল। শিশু থেকে শুরু করে গৃহকর্মীদের প্রতি, এমনকি পশুপাখি এবং জীবজন্তুর প্রতিও হাসুমণির প্রচণ্ড মায়া ছিল। এই মানবিক বৈশিষ্ট্য বিবেচনায় তিনি সবার চেয়ে আলাদা। তিনি আমাদের বাচ্চাদের সঙ্গে অত্যন্ত সদয় ছিলেন। বাচ্চাদের উনি অনেক সময় দিতেন এবং সত্যিকার অর্থে যত্নশীল ছিলেন শিশুদের মত ও মতামতের প্রতি।
একবার আমরা দিল্লি গেলাম। দাদি-নানি (আমার দাদি আর নানি দুই বোন), রেখা ফুফু আর আমরা দুই ভাই। হাসুমণি, রেহানা ফুফু আমাদের পেয়ে খুব আদর-যত্ন করলেন। তাঁরা মনে হয় আমাদের পেয়ে তাঁদের নিজ শোক সংবরণ করার শক্তি পেলেন। আমার সব দুষ্টুমি তাঁরা মেনে নিতেন। জয় অনেক ঠাণ্ডা প্রকৃতির ও সৃষ্টিশীল ছিল। সারাক্ষণ প্লেডো দিয়ে বিভিন্ন জিনিস বানাত। ওর ধৈর্য দেখে আমি অস্থির হয়ে যেতাম। আমি ওর সঙ্গে দৌড়াদৌড়ি বা ছোঁয়াছুঁয়ি খেলতে চেতাম। কিন্তু ওর ওসব খেলার প্রতি কোনো আগ্রহ ছিল না। অনেক শৃঙ্খলার সঙ্গে জীবনযাপন করত। আমি অস্থির হয়ে ওর তৈরি করা সবকিছু ভেঙে দিতাম। ও রাগ করে আমার পেছনে দৌড়াত, এতে আমার উদ্দেশ্যও হাসিল হতো। আমি পালাতাম। দাদি আর নানি আমাদের গোলমাল ঠেকাতে এসে মাঝেমধ্যে ব্যথা পেত।
জয় সেটাতে অনেক বিচলিত হয়ে আমার নানিকে বলত, ‘আপনে কেন মাঝখানে এসে ব্যথা পেলেন?’ দাদিকে দেখিয়ে বলত, ‘উনি তো ঠেকাতে আসে না!’ হাসুমণি, রেহানা ফুফু কিছুই বলত না। আমাদের এসব কীর্তিকলাপ দেখে মনে হয় মজা পেতেন। উনাদের অনেক ধৈর্যশক্তি।
এভাবে প্রায় বছর তিনেক হয়ে গেল। আমিও অভ্যস্ত হয়ে গেলাম বাবা-মা ছাড়া জীবনে। এর মধ্যে বাংলাদেশে ফিরে আসার ব্যবস্থা নেওয়া হলো। আবার সীমানা পেরিয়ে ফিরে আসা। আমাদের বাঙ্গরের প্রতিবেশীরা অনেক মন খারাপ করল। ওদের সঙ্গে আমাদের খুব আন্তরিকতা হয়ে গিয়েছিল, পরিবারের মতো। ঠিক হলো আমি, তাপস, রেখা ফুফু, দাদি আগে ফিরব। পরে চাচারা আসবে। ফিরে আসতে আসল কষ্টটা ছিল কঠোর বাস্তবতার অনুধাবন, বাবা-মা আসলে লন্ডনেও নেই; তাঁরা আকাশে হারিয়ে গেছেন অজস্র তারার মাঝে। এই বাস্তবতায় মন মানতে না চাইলেও আমাদের কোনো কিছু করার ছিল না। কাকে কী বলব? কেউ তো ভালো নেই। খামাখা সবাইকে এ ব্যাপারে বিরক্ত করে লাভ কী? তারা তো বাবা-মাকে ফিরিয়ে দিতে পারবে না, পারলে তো আগেই দিত।
আমার মা গান গাইতে অনেক ভালোবাসতেন। আমাদের ঘুম পাড়ানোর সময় গাইতেন আঞ্জুমান আরা বেগমের সেই বিখ্যাত ঘুমপাড়ানি গান : ‘খোকন সোনা বলি শোনো, থাকবে না আর দুঃখ কোনো, মানুষ যদি হতে পারো। এই কথাটি মনে রেখো, দুঃখীজনের সহায় থেকো।’ আমরা দুই ভাই বিভিন্ন প্রতিকূলতার মধ্যে মানুষ হওয়ার সেই নিরন্তর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। যেন ঘুমপাড়ানি এই গানের মধ্য দিয়ে, মা জীবনের সব উপদেশ দিয়ে গেছেন। শুধু আফসোস, মা দেখতে পারলেন না! দেখতে পারলেন না যে আমরা পড়াশোনা শিখে তাঁর আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটানোর চেষ্টা করেছি।
মায়ের লেখাপড়ার প্রতি অনেক ঝোঁক ছিল। তাঁর মৃত্যুর পর এমএ পরীক্ষার ফল বের হয়। তিনি রাষ্ট্রবিজ্ঞানে এমএ পাস করেছিলেন।
আগস্ট মাস এলে মানুষ জানতে চায়, বাবা-মা হারা আমাদের ছোটবেলা কীভাবে কেটেছে। কেমন ছিল আমাদের বেড়ে ওঠা? তাদের জন্যই আমার এই লেখা। অবশ্যই আমাদের বেড়ে ওঠা আর দশটা বাচ্চার মতো ছিল না। অত্যন্ত কোমল বয়সেই আমরা রাজনৈতিক প্রতিহিংসা আর রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডের শিকার। আমি এও জানি, নির্বাসিত শিশু হিসেবে আমাদের অভিজ্ঞতা একটি আকর্ষণীয় একাডেমিক আলোচনা হিসেবে জায়গা পেতে পারে।
তবুও বলব, তুলনামূলকভাবে অনেক এতিম বাচ্চার তুলনায় আমাদের শৈশব কেটেছে পরিবার-পরিজনের মায়া-মমতায়। আমার আত্মীয়স্বজনের আমাদের প্রতি মমত্ববোধ আর ভালোবাসার কোনো কমতি ছিল না। বরং আমরা একদিক দিয়ে ভাগ্যবান যে বাবা-মায়ের ভালোবাসায় বঞ্চিত হলেও অন্য স্বজনদের স্নেহ-মমতা আমরা অনেক বেশিই পেয়েছি, যেটা কেউই পায় না। তবে এত আদর-যত্ন, ভালোবাসার মধ্যেও আমি অবশ্যই বাবা-মাকে খুঁজেছি।
মায়ের গাওয়া নির্মলা মিশ্রর আর একটি গানের কথা মনে হয় : ‘ও তোতা পাখি রে, শিকল খুলে উড়িয়ে দেব, আমার মাকে যদি এনে দাও... ঘুমিয়ে ছিলাম মায়ের কোলে, কখন যে মা গেল চলে; সবাই বলে ওই আকাশে লুকিয়ে আছে খুঁজে নাও।’ যতই অনুভূতি রুদ্ধ করে রাখি, যতই খেলাধুলায় মেতে থাকি, শিশুরা যে মা-বাবাকে খুঁজে বেড়াবে এটাই প্রকৃতির রীতি।
(বি. দ্র. : এই লেখাটা সম্পূর্ণরূপে আমার শিশুকালের স্মরণশক্তির ওপর ভিত্তি করে লেখা। তাই আমি ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি এই মর্মে যদি ভুলবশত কাউকে আমি ভুলে গিয়ে থাকি। এখানে অনেক ঘটনা অসম্পূর্ণ ও আংশিক সত্য হতে পারে। কারণ, অপরিপক্ব একটা ছয় বছরের শিশুর খণ্ড খণ্ড স্মৃতির ওপর এই কাহিনি গাঁথা। তাই পরিপূর্ণ সত্যতার কোনো দাবি এখানে আমি করছি না।)
লেখক : ১৫ আগস্টের শহীদ শেখ ফজলুল হক মনি ও আরজু মনির জ্যেষ্ঠ পুত্র, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান