স্বাধীন ভাবনা
সমাজের বৈষম্য দূর করতে হবে
জঙ্গিবাদের যেসব কর্মকাণ্ড দেখা যাচ্ছে তাতে মনে হচ্ছে জঙ্গিরা মারাত্মক রকম অক্ষম শক্তি, এদের মাজার কোনো জোর নেই। এটা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোটামুটি ভেঙে দিয়েছে বলা যায়। অতএব টুকটাক যেগুলো জঙ্গি হামলা হচ্ছে সেগুলো নিয়ে কেউই চিন্তিত নয়। জনগণের মধ্যে কোনো প্রভাবও পড়ছে না। জনগণের মধ্যে কোনো দুশ্চিন্তাও নেই। তাতে বোঝা যায় যে আমরা জঙ্গিবাদকে যতটা শক্তিশালী মনে করি, জঙ্গিবাদ আসলে ততটা শক্তিশালী না।
স্বাধীনতার মাসে বলতে চাই, বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের পরে মোটামুটি যারা বড়লোক তাদের বেশি লাভ হয়েছে। যার ফলে সমাজে অনেক বৈষম্য বেড়েছে। তো আমরা আশা করব যে আগামীতে এই বৈষম্যটা কমবে। যাতে করে যারা গরিব মানুষ আছে, তাদের অবস্থাটা যেন আগের থেকে একটু ভালো হয়। যে কোনো দেশের অবস্থাই আগের থেকে ভালো হয়, আমি আশা করব যেন আরো বেশি ভালো হয়। বড়লোকদের তো তুলনাহীন ভালো হয়েছে। গরিব মানুষদের অবস্থা আরেকটু ভালো হবে এই জন্য তো মুক্তিযুদ্ধ করা।
মধ্যবিত্তের অবস্থাও ভালো হবে এজন্যই মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল। আর সমাজে যাতে একটু সামাজিক আন্দোলনটা বড় হয়। মানুষ খালি ভোগের পিছনে ঘুরছে রাজনীতির কারণে। আশা করব যে এই দুর্বলতাটা কমবে। মানুষ অনেক বেশি সক্রিয় হবে। স্বাধীনতার আগে মানুষ অনেক বেশি মুক্তিযুদ্ধের জন্য প্রত্যক্ষ অথবা পরোক্ষ ভাবে অনেক সক্রিয় ছিল। এখন মানুষ কিসের জন্য সক্রিয় জানি না।
লেখক : শিক্ষক, সাংবাদিক ও গবেষক