জঙ্গি হামলা
সে রাতের সংবাদকক্ষ
গত বছরের পয়লা জুলাই রাতে রাজধানীর গুলশানে হলি আর্টিজান বেকারিতে ভয়াবহ হামলা এবং তার পরের দিন কমান্ডো অভিযানের খবর ঘটনাস্থল থেকে যে সাংবাদিকরা কাভার করেছেন, তারা সৌভাগ্যবান। বেশির ভাগ সাংবাদিকের জীবনেই এরকম সুযোগ আসে না। কানের কাছ দিয়ে মৃত্যুদূতের চলে যাওয়ার এই ঝুঁকিই মূলত একজন সাংবাদিকের, বিশেষ করে রিপোর্টারের সবচেয়ে বড় পরীক্ষা। সেই পরীক্ষায় অনেকেরই মৃত্যু হয় যেমন ইরাকে, সিরিয়ায়, আফগানিস্তানে।
কানাডার সিবিসি নিউজের একসময় ওয়ার করেসপনডেন্ট ছিলেন ডেভিড কুইন। তাঁর কাছ থেকে যখন মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধের সংবাদ কাভার করার গল্প শুনেছি, শিহরিত হয়েছি। লন্ডনের চ্যানেল ফোরের প্রখ্যাত সাংবাদিক জনাথন মিলারের কাছ থেকেও শুনেছি শ্রীলংকায় তামিল বিদ্রোহীদের সঙ্গে সরকারি বাহিনীর যুদ্ধের সংবাদ কাভারের গল্প। এসব গল্প শুনে কেবল ঈর্ষাই হয়। যেমন এখন আমরা ঈর্ষা করতে পারি দেশি-বিদেশি যে সাংবাদিকরা আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের সংবাদ কাভার করেছিলেন, তাঁদের।
বস্তুত জঙ্গিবাদের যে সাপ দুধকলা খেয়ে বেড়ে উঠছিল এই জনপদে, তার সবচেয়ে বড় ছোবল দেশবাসী দেখতে পায় খোদ রাজধানী ঢাকার কূটনীতিকপাড়ায়। হলি আর্টিজান নামের এই স্প্যানিশ বেকারিতে (রেস্টুরেন্ট) জঙ্গিরা হামলা চালিয়ে ২০ জন নাগরিককে খুন করে, যাদের বেশির ভাগই বিদেশি। মনে রাখা দরকার, এই ঘটনা যেদিন ঘটে, তার ঠিক দুদিন আগে ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘ঢাকায় অপরাধ করে পার পাওয়া যাবে না।’
ওই হামলায় গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার রবিউল করিম এবং বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সালাউদ্দিন আহমেদও নিহত হন। পরের দিন ভোরে কমান্ডো অভিযানে নিহত হয় ৬ হামলাকারী। আটক করা হয় একজনকে। পরে ঢাকা মেডিকেলে মারা যান ওই রেস্টুরেন্টের এক কর্মী। সব মিলিয়ে হোলি আর্টিজানে নিহতের সংখ্যা দাঁড়ায় ২৯। জিম্মিদশা থেকে ১৩ জনকে জীবিত উদ্ধার করে বের করে আনা হয়।
ঘটনার দিন রাত ৯টার কিছু পরে আমাদের রিপোর্টার ফয়জুল সিদ্দিকী আমাকে জানান, গুলশানের ৭৯ নম্বর সড়কের একটি রেস্টুরেন্টে সন্ত্রাসীদের সঙ্গে পুলিশের গোলাগুলি হচ্ছে। শুরুতে আমরা কিছুই ধারণা করতে পারিনি। তৎক্ষণাত রিপোর্টার হিমেল মাহবুবকে (এখন ডিবিসি নিউজে কর্মরত) ঘটনাস্থলে পাঠাই। এর মধ্যে আমরা নানা জায়গায় যোগাযোগ করে আসল ঘটনা জানার চেষ্টা করি। কিন্তু কেউই পরিষ্কার করে কিছু বলতে পারেননি। গুলশান থানা পুলিশও পরিষ্কার করে কিছু বলতে পারেনি।
এরমধ্যে আমরা ওই রেস্টুরেন্টের পাশে লেকভিউ ক্লিনিকে আটকেপড়া এক ভদ্রলোকের ফোন নম্বর পাই এবং তিনি আতংকিত গলায় আমাদের বলেন যে, তিনি এখনো গোলাগুলির শব্দ শুনছেন। ঘটনার কারণে গুলশান-বনানী এলাকায় নিরাপত্তা বাড়ানো হয় এবং বিভিন্ন সড়কে ভয়াবহ জ্যাম লেগে যায়। প্রতিটি গাড়িতে তল্লাশি চালাতে শুরু করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ফলে ঘড়িতে যখন ৯টা ৫৫ মিনিট, তখনো আমাদের রিপোর্টার হিমেল বনানীর জ্যামে আটকা। আমরা ১০টার বুলেটিনে লেকভিউ ক্লিনিকে আটকেপড়া ওই ভদ্রলোককে ফোনো করি। অর্থাৎ তিনি আমাদের মোবাইল ফোনে ঘটনাস্থলের বর্ণনা দেন। তিনি জানান, রাত পৌনে ৯টার দিকে গোলাগুলি শুরু হয়। তারা ওই রেস্টুরেন্টের খুব কাছে বলে বের হতে পারছেন না। তবে পুলিশের সঙ্গে কাদের গোলাগুলি এবং ঠিক এর কারণ কী-এসবের কিছুই তখন পর্যন্ত আমরা জানি না।
এরইমধ্যে ঘটনাস্থলে রওনা দেন আমাদের আরেক রিপোর্টার জুনায়েদ খান। তার কিছু পরে রওনা হন রিপোর্টার রাশেদ নিজাম। পরে যোগ দেন হিরন খান। অন্য টেলিভিশনগুলোর সাংবাদিকরাও ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান। তাঁরা সবাই ঘটনাস্থল থেকে সরাসরি বা লাইভ বর্ণনা করতে থাকেন। পুরো রেস্টুরেন্টটি ঘিরে রাখে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ঘটনাস্থলে যান বিভিন্ন বাহিনীর কর্তা ব্যক্তিরা। এরইমধ্যে খবর আসে সন্ত্রাসীদের হামলায় দুই পুলিশ কর্মকতা নিহত হয়েছেন। ফলে তখন আমরা ধারণা করতে পারি, রেস্টুরেন্টে যারা হামলা চালিয়েছে, তারা সংখ্যায় একাধিক এবং বড় কোনো সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত।
সংবাদভিত্তিক সব চ্যানেলই এই ঘটনা লাইভ প্রচার করতে থাকে এবং বলার অপেক্ষা রাখে না যে, সাংবাদিকরা নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই ঘটনা কাভার করেন। এরইমধ্যে আমরা জানতে পারি, ওই রেস্টুরেন্টে যারা আটকা পড়েছেন তাদের মধ্যে অনেকেই বিদেশি। ৭৯ নম্বর সড়কে ঢুকতেই বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বাসভবন সংলগ্ন একটি বাসায় থাকতেন আমার এক ডাচ বন্ধু হিল্ডা জ্যানসেন; যিনি একসময় বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদপত্রের বিদেশ প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেছেন। বাংলাদেশে এসেছিলেন কিছু গবেষণার কাজে। সম্প্রতি তিনি লিভারের ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছেন। নেদারল্যান্ডে চিকিৎসা নিচ্ছেন। ঘটনার সময় তাঁর বাসায় একটি অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন আমাদের আরেক ডাচ বন্ধু গিয়ার্ট ভ্যান অ্যাসবেক, তাঁর স্ত্রী নেদারল্যান্ডের ডেপুটি অ্যাম্বাসেডর মার্টিন ভ্যান। সম্প্রতি তিনি সেনেগালে বদলি হয়ে গেছেন। কয়েকদিনের মধ্যেই তারা ঢাকা ছাড়বেন। গিয়ার্ট ও হিল্ডা মোবাইল ফোনে উদ্বিগ্ন হয়ে কিছুক্ষণ পরপর জানতে চাচ্ছিলেন, আসলে কী হচ্ছে? কেননা তাঁরা যে বাসায় ছিলেন, সেখান থেকে একেবারেই কাছে হলি আর্টিজান বেকারি। কিন্তু বেকারির ভেতরে আসলেই কী হচ্ছে, তা বলা আমাদের পক্ষে সম্ভব ছিল না। অনেকক্ষণ বাদে গিয়ার্ট আমাকে জানালেন যে, তিনি পুলিশি পাহারায় ৬১ নম্বর রোডে তার বাসায় পৌঁছে গেছেন।
এ রকম ঘটনাপ্রবাহের মধ্যে শুরু হতে থাকে ওই রেস্টুরেন্টে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানের প্রস্তুতি। এ সময় র্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ সাংবাদিকদের অনুরোধ জানান, অভিযান বা অভিযানের প্রস্তুতি নিয়ে যাতে কেউ লাইভ সম্প্রচার না করেন। কিন্তু দেখা গেল, এই অনুরোধ উপেক্ষা করে অনেকেই লাইভ অব্যাহত রাখেন। এমনকি কোনো কোনো টেলিভিশনের সাংবাদিক তাদের কথাবার্তায় যথেষ্ট অপেশাদারত্বেরও পরিচয় দেন।
রাত বাড়তে থাকে। সেই সঙ্গে উত্তেজনা আর ভয়। আমরা একটানা বুলেটিন চালিয়ে যাচ্ছিলাম। যেহেতু ঘটনাস্থল থেকে লাইভ বা সরাসরি সম্প্রচারে র্যাবের তরফে নিষেধাজ্ঞা ছিল, সে কারণে আমাদের সংবাদ প্রচারে বেশ কৌশলী হতে হয়। কেননা সারা দেশের মানুষ টিভির স্ক্রিনে তাকিয়েছিল সবশেষ খবর জানার জন্য। ফলে আমরা যদি এই ঘটনার কোনো খবর প্রচার না করি বা ব্ল্যাকআউট করে দেই তাহলে দর্শকের আস্থা হারাব। ফলে আমাদের লাইভের বদলে স্পট থেকে রিপোর্টারের ফোনো (টেলিফোন আলাপ) চালাতে হয়।
রাত দেড়টার দিকে জঙ্গিদের অনলাইন-ভিত্তিক কর্মকাণ্ড তদারককারী মার্কিন ওয়েবসাইট সাইট ইনটেলিজেন্স গ্রুপ এক টুইট বার্তায় জানায় যে, এই হামলার দায় স্বীকার করেছে আইএস। জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসের সংবাদমাধ্যম আমাক জানিয়েছে, আইএস যোদ্ধারা বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার একটি রেস্তোরাঁয় হামলা চালিয়েছে।
পরের দিন সকাল সাড়ে ৭টার দিকে জিম্মিদের উদ্ধারে যৌথ কমান্ডো অভিযান শুরু হয়। সশস্ত্র বাহিনী, পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, সোয়াত সদস্যদের নিয়ে এই কমান্ডো অভিযান চালানো হয়। সকাল সোয়া ৮টার দিকে কমান্ডোরা পরিস্থিতি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয়। এতে তারা সময় নেয় মাত্র ৪৫ মিনিট। বেলা ১১টার দিকে যৌথ কমান্ডো অভিযান শেষ করা হয়। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পরিচালক কর্নেল রাশিদুল হাসান জানান, অভিযান শেষ এবং পরিস্থিতি এখন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে।
হলি আর্টিজানের এই ঘটনাটি বাংলাদেশের গণমাধ্যমের জন্য একেবারেই নতুন একটি অভিজ্ঞতা। যেহেতু এর আগে বাংলাদেশে এ রকম সন্ত্রাসী হামলা হয়নি, ফলে এ জাতীয় ঘটনার লাইভ বা সরাসরি সম্প্রচারে টেলিভিশনগুলো আসলে কী করবে বা কতটুকু প্রচার করবে অথবা করবে না, কীভাবে এই ভয়ংকর ঘটনা কাভার করবে-সেসব নিয়ে শুরুতে আসলে কারোরই পরিষ্কার ধারণা ছিল না।
কিন্তু ঘটনার পরের দিন রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে হলি আর্টিজানের ঘটনা লাইভ বা সরাসরি সম্প্রচারের কারণে টেভিশিনগুলোর কড়া সমালোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এতে উদ্ধার অভিযান ব্যাহত হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। শেখ হাসিনা বলেন, আপনারা যখন সরাসরি সম্প্রচার করছেন তখন সবাই টেলিভিশনে ওখানকার পরিস্থিতি দেখছিল, এমনকি যারা সন্ত্রাসী তারাও তো টেলিভিশন দেখছে। ফলে কোনো উদ্ধার পরিকল্পনাই আমরা বাস্তবায়ন করতে পারছিলাম না। তিনি বলেন, এমনকি কোথায় কোন বাহিনী কীভাবে প্রস্তুতি নিয়ে অবস্থান নিচ্ছে সেটাও কয়েকটি টেলিভিশন চ্যানেল সরাসরি সম্প্রচার করছিল।
বিশ্ব গণমাধ্যমের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনারা বিশ্ব মিডিয়া যেমন বিবিসি, সিএনএনের দিকে তাকান। লাশের ছবি কিন্তু তারা দেখায় না। অনেক সুস্থ মানুষ, গর্ভবতী নারী ও শিশুরা টিভি দেখে; এটা তাদের ওপর কী ধরনের প্রভাব ফেলবে, সে কথাও কিন্তু ভাবতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী সতর্ক করে বলেন, ‘আমরা কয়েকটি টিভি চ্যানেলকে বলি সরাসরি সম্প্রচার বন্ধ রাখতে, কিন্তু তারা আমাদের কথা শুনতে চায়নি। আমরা তো জানি কারা কারা কথা শোনেনি। সবটাই আমাদের নজরদারিতে আছে। দেশে এই যে এতগুলো চ্যানেল সবই তো আমি বরাদ্দ দিয়েছি। আমার হাত দিয়েই তো এসব এসেছে, আমি সবটাই জানি।’
এ কথা অস্বীকার করার উপায় নেই যে, যখন এ রকম বড় কোনো ঘটনা ঘটে, তখন সারা দেশের মানুষের চোখ টেলিভিশনের পর্দায়ই থাকে। তারা প্রতি মুহূর্তের আপডেট বা সবশেষ খবর জানতে চায়। সেই ক্ষেত্রে সবশেষ তথ্য দেওয়াও গণমাধ্যমের দায়িত্ব। বরং এ রকম বড় ঘটনার খবর যদি গণমাধ্যম এড়িয়ে যেত তখন তাদের দর্শকপ্রিয়তা কমতই শুধু নয়, জনগণ গণমাধ্যমকে গালাগালও করত। ফলে এ রকম পরিস্থিতিতে গণমাধ্যম অনেকটা শাঁখের করাতে পড়ে যায়। সবার আগে সবশেষ খবর দর্শককে জানানোর যেমন তাড়া বা প্রতিযোগিতা থাকে, তেমনি ঠিক কতটুকু প্রচার করা যাবে বা যাবে না-তা নিয়েও অনেক সময় সিদ্ধান্ত নেওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। এখানে সংবাদভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর মধ্যে একটা অসুস্থ প্রতিযোগিতাও কাজ করে। কারণ সবাই চায় এ রকম বড় ঘটনাকে কেন্দ্র করে দর্শকপ্রিয় হতে।
কিন্তু এখানে সবার আগে সবশেষ তথ্য দেওয়ার চেয়েও বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে জাতীয় নিরাপত্তা বা সার্বভৌমত্ব ক্ষুণ্ণ হয় এমন কিছু প্রচার না করা। বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও যেহেতু হলি আর্টিজানের মতো ঘটনার মুখোমুখি আগে কখনো হয়নি, তাই এই পরিস্থিতি উত্তরণে তাদের কৌশল কী হবে- তারা ডিফেন্সিভ হবে না কি অফেন্সিভ-এসব প্রশ্নের জবাব জানার কৌতূহল সাংবাদিকদের থাকবেই। কিন্তু তারপরও র্যাব মহাপরিচালক যখন অভিযানের ছবি সরাসরি সম্প্রচার না করার অনুরোধ করলেন, তখন কোনো কোনো টেলিভিশন কৌশলে ঢাকা মেডিকেল ও ইউনাইটেড হাসপাতাল থেকে তাদের রিপোর্টারদের সঙ্গে সরাসরি সংযোগ স্থাপন করেছে। হলি আর্টিজান এলাকায় তাদের রিপোর্টার থাকলেও সেখানে সরাসরি যুক্ত হয়নি। মাঝে মধ্যে মোবাইল ফোনে (ফোনো) ঘটনাস্থল থেকে রিপোর্টার যুক্ত হয়েছেন। এই কৌশলটি তুলনামূলকভাবে নিরাপদ ছিল।
বাস্তবতা হলো, যেহেতু গণমাধ্যমের জন্য এ জাতীয় ঘটনা একদমই নতুন-তাই কিছু ভুলত্রুটি থাকা অস্বাভাবিক নয়। এসব ভুলত্রুটি থেকে ভবিষ্যতের জন্য শিক্ষা নেওয়া গেলেই মঙ্গল।
লেখক : সাংবাদিক