মধ্যপ্রাচ্য সংকট
আবার রক্তাক্ত ফিলিস্তিন
পবিত্র জেরুজালেম নগরীকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে মার্কিন প্রেসিডেন্টের স্বীকৃতির প্রতিবাদে অধিকৃত ফিলিস্তিন, মধ্যপ্রাচ্য এবং গোটা বিশ্বে বিক্ষোভ সমাবেশ ও আন্দোলন অব্যাহত রয়েছে। ৬ ডিসেম্বর ট্রাম্প জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করেন। তিনি তেলাবিব থেকে জেরুজালেমে মার্কিন দুতাবাস সরিয়ে নেয়ারও সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন। এর পর ফিলিস্তিনে বিক্ষোভ শুরু হয়। গাজার ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন বা হামাস তৃতীয় ইন্তেফাদার ঘোষণা দেয়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ট্রাম্পের এ সিন্ধান্তের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায়। আরবলিগ জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী ঘোষণার তীব্র প্রতিবাদ জানায় এবং পূর্ব জেরুজালেমকে ফিলিস্তিনের রাজধানী ঘোষণার আহ্বান জানায়। ইসলামি জাতিসমূহের প্রতিনিধিত্বশীল ৫৭ জাতি ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা- ওআইসি আরবলিগের ওই প্রস্তাবকে অনুমোদন দেয়।
১৩ ডিসেম্বর বিশেষ শীর্ষ সম্মেলনের পর ওআইসি এক বিবৃতিতে ট্রাম্পের সিদ্ধান্তকে উড়িয়ে দিয়ে পূর্ব জেরুজালেমকে ফিলিস্তিনের রাজধানী করার ঘোষণা দেয়। এই পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক বিশ্বকে অনুসরণ করার আহ্বান জানায় সংস্থাটি। বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের সিদ্ধান্ত ‘বিপজ্জনক’ উল্লেখ করে ওআইসি পূর্ব জেরুজালেমে ইসরায়েলি শাসনের অবসান ঘটাতে জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানায়। ওআইসি জানায়, তারা দুই রাষ্ট্র ভিত্তিক সমাধানে বিশ্বাসী। এর আগে ওআইসি মহাসচিব ইউসেফ আল হুথাইমিন মার্কিন সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হতে মুসলিম বিশ্বকে আহ্বান জানান। হুথাইমিন বলেন, ওআইসি আমেরিকার সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করেছে এবং এর নিন্দা জানিয়েছে। এটা একদিকে আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন এবং অন্যদিকে এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে বিশ্বের মুসলিমদের অনুভূতিতে আঘাত করা হয়েছে।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সিদ্ধান্তে এই অঞ্চল তথা পুরো বিশ্বে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে উল্লেখ করেন হুথাইমিন। ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এই স্বীকৃতির মাধ্যমে ফিলিস্তিন-ইসরায়েল শান্তি প্রক্রিয়ায় নিজেদের ‘অযোগ্য এবং পক্ষপাতদুষ্ট’ হিসেবে প্রমাণ করেছে। শান্তি প্রক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের আর কোনো ভূমিকা গ্রহণযোগ্য হবে না।
ওআইসির বর্তমান সভাপতি তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান শক্ত অবস্থান নেন। তিনি সংস্থাটির ষষ্ঠ বিশেষ শীর্ষ সম্মেলন আহ্বান করেন। সম্মেলনে তিনি ইসরায়েলকে একটি ‘সন্ত্রাসী রাষ্ট্র’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন। জেরুালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র আন্তর্জাতিক সম্প্রায়কে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন। তিনি মুসলিম বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে একই সুরে কথা বলার আহ্বান জানান। একটি সংবাদ বিশ্লেষণে এসব মন্তব্য করা হয়।
ট্রাম্পের ঘোষণার পর উত্তাল আন্দোলন চলছে গোটা ফিলিস্তিনে। গত ১৫ ডিসেম্বর পূর্ব জেরুজালেমে আল আকসা মসজিদে জুমার নামাজ শেষে শত শত ফিলিস্তিনি রাস্তায় নেমে আসে। বিভিন্ন এলাকায় ফিলিস্তিনিদের বিক্ষোভ মিছিলে বাধা দেওয়ায় ইসরায়েলি সেনাদের সাথে তাদের সংঘর্ষ বাধে। এ সময় বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে ইসরায়েলি সেনারা টিয়ার গ্যাস, সাউন্ড বোমা এবং গুলি বর্ষণ করে। প্রথম থেকে এ পর্যন্ত ইসরায়েলি হামলায় ১২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে বলে আল জাজিরার খবরে বলা হয়। আর আহত হয়েছে ৭০০ ফিলিস্তিনি। আটকের সংখ্যা প্রায় দুই হাজার।
অধিকৃত প্রতিটি গ্রাম ও শহরে আন্দোলন ও বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। এসব ঘটনাবলি থেকে তৃতীয় ইন্তেফাদার আশঙ্কা করছেন আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা। উল্লেখ্য, ইতিপূর্বে প্রথম ও দ্বিতীয় ইন্তেফাদায় গোটা ফিলিস্তিনে ব্যাপক গণআন্দোলন ও সহিংসতার প্রকাশ ঘটে।
গত ৮ ডিসেম্বর ছিল ফিলিস্তিনের প্রথম ইন্তেফাদা ৩০তম বার্ষিকী। ১৯৮৭ সালের এই দিনে ফিলিস্তিনের ইতিহাসে প্রথম ইন্তেফাদার সূচনা হয়। ইন্তেফাদা একটি আরবি শব্দ যার অর্থ ‘ঝাঁকুনি দেওয়া’। ইসরায়েলি দখলদারত্বের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনের গণজাগরণকে বোঝাতে ইন্তেফাদা শব্দটি ব্যবহৃত হয়। ইসরায়েলের জন্মের পর মোট দুটি ইন্তেফাদা ঘটনা ঘটেছে ফিলিস্তিনে। ১৯৮৭ সালের ডিসেম্বরে প্রথম বারের মতো ইন্তেফাদার সূচনা হয়। একটি ইসরায়েলি সামরিক ট্রাকের একটি গাড়ির সাথে সংঘর্ষে গাজার জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে চারজন ফিলিস্তিনি নিহত হয়। এই ঘটানায় ফিলিস্তিনিরা বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। ১৯৯৩ সালে প্রথম ইন্তেফাদার সমাপ্তির পূর্ব পর্যন্ত ১ হাজারেরও অধিক ফিলিস্তিনি তাদের প্রাণ হারায়। ১৬ হাজার লোককে কারাগারে আটক করা হয়।
অপরদিকে পঞ্চাশের মতো ইসরায়েলি বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়। দ্বিতীয় ইন্তেফাদা ‘আল-আকসা ইন্তেফাদা’ নামেও পরিচিত। পূর্বের ইন্তেফাদা’র চেয়ে এটি ছিল আরো বেশি রক্তক্ষয়ী। ২ হাজার সালে তৎকালীন ইসরায়েলি বিরোধী দলীয় নেতা অ্যারিয়েল শ্যারন তার নিরাপত্তা রক্ষীদের নিয়ে আল-আকসা মসজিদ পরিদর্শনে এলে মসজিদের মুসল্লিদের সাথে শ্যারনের নিরাপত্তারক্ষীদের সংঘর্ষের সূচনা ঘটে। সংঘর্ষে সাতজন ফিলিস্তিনি নিহত হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে দ্বিতীয় ইন্তেফাদা সূচনা হয় এবং মাত্র দুদিনের মাথায় এটি তীব্র আকার ধারণ করে। এই ইন্তেফাদায় ৯০০ ইসরায়েলি ও চার হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়। ফিলিস্তিনের বর্তমান উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে প্রথম ইন্তেফাদা বার্ষিকী উদযাপিত হচ্ছে। প্রথম ইন্তেফাদা বার্ষিকীতে তৃতীয় ইন্তেফাদা সূচনা হতে পারে বলে পর্যবেক্ষক মহলের ধারণা।
এবার ইসরায়েলিরা বিক্ষোভ দমনে নতুন কৌশল গ্রহণ করে। ইসরায়েলি কমান্ডোরা ছদ্মবেশে বিক্ষুব্ধ ফিলিস্তিনিদের দলে প্রবেশ করে এবং হামলা চালায়। ফিলিস্তিনি অধ্যুষিত রামাল্লা শহরে এ ঘটনা ঘটে। অপর দিকে টায়ারে অগ্নি সংযোগ ও ইসরায়েলি সেনাদের দিকে পাথর ছুড়ে বিক্ষোভ করে ফিলিস্তিনিরা। এর উত্তরে ইসরায়েলি কমান্ডোরা গুলি বর্ষণ করে। নিজ দেশে পরবাসী ফিলিস্তিনি জনগণ ১৯৪৮ সালে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ঘোষণার পর থেকে বিগত ৭ দশক ধরে নিজ আবাসভূমির জন্য লড়াই করে যাচ্ছে। ১৯৮০ সালের জাতিসংঘ প্রস্তাব অনুযায়ী ইহুদি ও মুসলমানদের জন্য পৃথক দুটো রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠার কথা বলা হয়। ওই প্রস্তাবে পূর্ব জেরুজালেমকে ফিলিস্তিনের রাজধানী করার প্রস্তাব করা হয়। এবার আরবলিগ ও ওআইসি’র প্রস্তাবে পূর্ব জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী ঘোষণার বিষয়টি নতুন করে গোটা বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।
ট্রাম্পের জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী ঘোষণা এমন সময় সংঘটিত হল যখন গোটা আরব বিশ্বে একটি সমঝোতার মনোভাব পরিলক্ষিত হচ্ছিল। মধ্যপ্রাচ্যের দুটো বড় রাষ্ট্র মিসর ও সৌদি আরব ইসরায়েলের প্রতি মিত্রতার নীতি অনুসরণ করছিল। ইসলামের পবিত্র নগরীদ্বয়ের খেদমতগার বলে দাবিদার সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের ইসরায়েল সফরের আমন্ত্রণ এর বড় প্রমাণ। অপর দিকে চরম ইসরায়েলবিরোধী গাজার হামাস এবং লেবাননের হিজবুল্লাহও একটি আপোস ফর্মুলার দিকে এগুচ্ছিল বলে সংবাদ বিশ্লেষণে জানা গেছে। ট্রাম্পের ঘোষণা দ্বারপ্রান্তে আসা শান্তির সম্ভাবনাকে নস্যাত করে দিয়েছে। এখন ফিলিস্তিনি শক্তিসমূহকে নতুন করে তাদের কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে। বলা বাহুল্য এই কর্মসূচি নিশ্চয়ই ইসরায়েলের পক্ষে যাবে না।
শুধুমাত্র ফিলিস্তিন নয় গোটা বিশ্বের রাজনীতিতে ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত নেতিবাচক সমীকরণ প্রদান করবে বলে আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করেন। এর আগে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেবে না বলে জানায়। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে এই কথা জানান ইইউর পররাষ্ট্র নীতি বিষয়ক প্রধান ফেদেরিকা মঘারিনি। যুক্তরাষ্ট্রের মতো ইউরোপও জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেবে বলে প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু আশা প্রকাশ করেছিলেন। মঘারিনি নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠকে বলেন, এ বিষয়ে ইইউ’র অবস্থানের কোনো পরিবর্তন হয়নি এবং এ ক্ষেত্রে তারা ‘আন্তর্জাতিক ঐকমত্যকেই’ অনুসরণ করবে। তিনি বলেন, আমরা বিশ্বাস করি ইসরায়েল-ফিলিস্তিনি সংঘাতের একমাত্র বাস্তবসম্মত সমাধান হচ্ছে দুই রাষ্ট্র ভিত্তিক সমাধান যার দুটিরই রাজধানী হবে জেরুজালেম।
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি অধিবেশনেও ট্রাম্পের সিদ্ধান্তে তোপের মুখে পড়ে যুক্তরাষ্ট্র। সদস্য দেশগুলো যুক্তরাষ্ট্রের সিদ্ধান্তের নিন্দা জানায়। তবে নিরাপত্তা পরিষদে আনুষ্ঠানিক কোনো প্রস্তাব গৃহীত হয়নি। সম্প্রতি তুরস্কে সাময়িক সময়ের জন্য অবস্থান করেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়ে হামাস এবং ফাতাহকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান। এএফপি পরিবেশিত খবরে বলা হয় পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে ১৯৬৭ সালের সীমানা অনুযায়ী একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পক্ষে আনুষ্ঠানিক সমর্থন জানিয়েছে চীন। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লু ক্যাং এ কথা জানান। তিনি বলেন, জেরুজালেম ইস্যুতে তাঁর দেশ মুসলিম বিশ্বের উদ্বেগের বিষয়ে অবগত ও জাতিসংঘের প্রস্তাব ও আন্তর্জাতিক ঐকমত্য অনুযায়ী জেরুজালেমের মর্যাদা নির্ধারণে সমর্থন করে। তিনি ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলের মধ্যকার দীর্ঘদিনের সমস্য সমাধানে উভয় পক্ষের প্রতি ‘ন্যায্য ও বোধগম্য’ সংলাপেরও আহ্বান জানান।
বেইজিংয়ে নিয়মিত সংবাদ ব্রিফিংকালে পররাষ্ট্র মুখপাত্র এ মন্তব্য করেন। তাঁকে প্রশ্ন করা হয় পূর্ব জেরুজালেমকে ফিলিস্তিনের রাজধানী হিসেবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের স্বীকৃতির আহ্বান জানিয়ে দেওয়া ওআইসির আহ্বান সম্পর্কে। জবাবে তিনি উপরোক্ত মন্তব্য করেন। উল্লেখ্য, এই ঘোষণার মাধ্যমে ফিলিস্তিনিদের জন্য মুসলিম বিশ্বের পক্ষে চীনের অবস্থান স্পষ্ট হলো।
সর্বশেষ বিশ্লেষণে দুটো বিষয় স্পষ্ট হয়েছে। প্রথমত, ফিলিস্তিনের অভ্যন্তরে ইন্তেফাদার সূচনা। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বরাবরের মতো সব মানবিকতাকে অস্বীকার করে বর্বরতার মাধ্যমে বিক্ষোভ ও বিপ্লবকে মোকাবিলা করছে। এটি গণআন্দোলনের গতিকে আরো তীব্রতর করে তুলবে বলে পর্যবেক্ষক মহল মনে করেন। দ্বিতীয়ত, পৃথিবীব্যাপী ট্রাম্পবিরোধী অবস্থান। যেভাবে বিভক্ত আরব বিশ্ব একাট্টা হয়েছে তা অভাবনীয়। অপরদিকে তুরস্কও ওআইসির নেতৃত্বে থাকায় গোটা মুসলিম বিশ্ব এক ও অভিন্ন ভাষায় ফিলিস্তিনের প্রতি দ্ব্যর্থহীন সমর্থন ঘোষণা করেছে। ট্রাম্পের অব্যাহত মুসলিমবিরোধী নীতির প্রতি এসব ঘোষণা রীতিমত রাজনৈতিক চপেটাঘাত।
দৃশ্যমান বর্তমান দেখে ভবিষ্যৎ মন্তব্য করা যায় যে, ট্রাম্প যদি তার দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন না করেন তাহলে মুসলিম বিশ্বের অনুকূল দৃষ্টিভঙ্গি পাওয়া খুবই কঠিন হবে। বিদগ্ধ মুসলিম পণ্ডিতরা ইতিমধ্যেই সতর্কবাণী উচ্চারণ করেছেন যে ট্রাম্পের মুসলিমবিরোধী সিদ্ধান্তগুলো আরো বেশি করে সন্ত্রাস এবং জঙ্গি মনোভাবের সৃষ্টি করবে। নিউটনের তৃতীয় সূত্র মোতাবেক , প্রত্যেক ক্রিয়ারই একটি সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়া আছে। সুতরাং সাধু সাবধান।
লেখক : অধ্যাপক, সরকার ও রাজনীতি বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়