দক্ষিণ আফ্রিকা
যে যায় লংকা সে-ই হয় হনুমান
আফ্রিকার কালো মানুষের নেতা পেট্রিস লু মুম্বাকে বলা হতো ‘আফ্রিকার হৃদয়ে সূর্যোদয়’।এখন দক্ষিণ আফ্রিকার নতুন প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা একই অভিধায় নিজেকে সিক্ত করতে চাইছেন।পার্লামেন্টে ১৬ ফেব্রুয়ারি দেওয়া ‘স্টেট অব দ্য নেশন’ ভাষণে তিনি বলেন,‘দেশকে পিছনে ঠেলে দেওয়া সব নেতিবাচক বিষয়কে আমাদের ছুড়ে ফেলা উচিত। কারণ নতুন এক সূর্যের উদয় ঘটেছে। এটা দারুণ এক সূর্যোদয়। ‘প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পর জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া রামাফোসার এটাই প্রথম ভাষণ। উচ্চাকাঙ্ক্ষী ও সুদীর্ঘ ভাষণে তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার নিশ্চল অর্থনীতি চাঙ্গা করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। দেশের ব্যাপক বেকারত্বের হার কমিয়ে আনার এবং সরকারের ঋণ নিয়ন্ত্রণের ঘোষণাও দেন তিনি। রামাফোসা বলেন, বছরের পর বছর ধরে চলা দুর্বল প্রবৃদ্ধির কারণে সৃষ্ট বাজার ঘাটতি আর ঋণের পরিমাণ কমিয়ে আনতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ‘কঠিন সিদ্ধান্ত’ নিতে হবে।
রামাফোসার এই কঠিন ঘোষণাকে মোটেই কঠিন মনে করেন না দক্ষিণ আফ্রিকার জনগণ। নতুন প্রেসিডেন্টের এসব মন্তব্যে মন ভরছে না সম্পদশালী দেশটির সাধারণ মানুষদের। তাই তারা বাগারম্বরকে ‘বস্তাপচা’ মনে করেন। দীর্ঘকাল ধরে শাষকগোষ্ঠীকে দুর্নীতিতে নিমজ্জিত দেখছে জনগণ। তাদের মন্তব্য ‘যে যায় লঙ্কা সে-ই হয় হনুমান’। রামাফাসোর কঠিন ভাষণের পর দেশটির রাজধানীসহ প্রত্যন্ত অঞ্চলে আলোচনা সমালোচনা চলছে। ওই ভাষণে তিনি সবাইকে নেলসন মেন্ডেলার পথ অনুসরণে আহ্বান জানান। তিনি দুর্নীতি, দরিদ্র, লিঙ্গ সমতা ও বর্ণ বিভাজন নিয়ে বড় বড় কথা বলেন। তারপরও জনমনে আশা-ভরসার লেশমাত্র দেখা যাচ্ছে না। জনগণ মনে করে যে, জুমা ও রামাফোসা দুজন আলাদা কোনো ব্যক্তি নয়। তারা একসঙ্গে অনেক বছর কাজ করেছেন। আগের প্রেসিডেন্ট কিছু করতে পারেননি।এখন নতুন প্রেসিডেন্ট কিছু করতে পারবেন বলে বিশ্বাস নেই তাদের।
জাতীয় জীবনে কোনো পরিবর্তন বা উন্নয়ন আসবে বলে মনে করেন না আফ্রিকার সাধারণ মানুষরা। তাদের প্রত্যাশার জায়গা এখন শূন্যের কোঠায় এসে ঠেকেছে। অনেকে আবার রামাফোসাকে ওই গুরুত্বপূর্ণ পদের উপযুক্ত মনে করেন না। যেহেতু তিনি সারাজীবন কাটিয়েছেন ব্যবসা বাণিজ্য করে তাই পর্যবেক্ষকরা মনে করেন গতানুগতিকতার বাইরে ‘বিপ্লবী’ কিছু করার যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা, ব্যক্তিত্ব-কোনোকিছুই তার নেই। দেশের সাধারণ মানুষ প্রকারান্তরে জেঁকে বসা পুঁজিবাদ ও মধ্যসত্ত্বভোগী ব্যবস্থাকে তাদের দুর্ভাগ্যের কারণ মনে করে। তারা আশঙ্কা করছে যে ‘উনি জাতির উদ্দেশ্যে যত কথা বলুন না কেন, হাতে যখন ক্ষমতা চলে আসে তখন উনিও আগের প্রেসিডেন্টের মতো দুর্নীতি করা শুরু করবেন।’
জনগণের এই হতাশার বাস্তবতা রয়েছে। প্রায় তিন দশক আগে শ্বেতাঙ্গ শাসনের অবসানের পর এখনো দেশটিতে বেকার মানুষের সংখ্যা ২৭ শতাংশ। এর মধ্যে তরুণ জনগোষ্ঠী হচ্ছে ৬৮ শতাংশ। দারিদ্র্য বেড়েছে ব্যাপকভাবে। বর্ণবাদী শাসন থেকে উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া বৈষম্য ও দরিদ্রতা কাটিয়ে দেশটিকে পুনর্গঠন এবং কোটি কোটি মানুষের মৌলিক সেবা সরবরাহে বর্ণবাদ পরবর্তী সরকারগুলো ব্যাপক প্রচেষ্টা চালিয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি। দক্ষিণ আফ্রিকার অনেক মানুষ এখনো বিদ্যুৎ ও সেনিটেশন সুবিধা থেকে বঞ্চিত। লেখাপড়া ও স্বাস্থ্যসেবা-সুবিধাও অধিকাংশ ক্ষেত্রে প্রান্তিক পর্যায়ের।
এক সাম্প্রতিক সমীক্ষায় দেখা গেছে, ৯ বছর বয়সের শিশুদের মধ্যে প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৮ জনই নিরক্ষর। দেশে সহিংস অপরাধের মাত্রা বিশ্বে সর্বোচ্চ। দরিদ্র মানুষের দুর্দশাও চরম। ভঙ্গুর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়াতে দরকার আরও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি। অনুমান করা হচ্ছে এ বছর অর্থনীতিতে সামান্য গতিশীলতা আসবে। এতে কোটি কোটি মানুষের বেকারত্ব যে রাতারাতি ঘুচবে সে আশা কেউই করেনা। দেশের বড় ধরনের অবকাঠামোগত সমস্যাও বিদ্যমান। দক্ষ ও যোগ্য শ্রমিকের অভাব রয়েছে দীর্ঘকাল ধরে। দুর্নীতি কেলেঙ্কারির ঘুরপাকে নয় বছর অতিক্রান্ত করেছেন জ্যাকব জুমা। কিন্তু তিনি নিজেই দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছেন। বলতে গেলে, রাজপথ থেকে রাজপ্রসাদ পর্যন্ত অর্থাৎ তৃণমূল থেকে সর্বোচ্চ পর্যায় দুর্নীতি বিস্তৃত রয়েছে।
রাজনৈতিক অভিজ্ঞ মহল মনে করেন ‘নিশ্চয়তা ও দৃঢ়তা’ এর চেয়েও এখন যা প্রয়োজন তা হচ্ছে অর্থনৈতিক নীতিমালা ও উন্নয়ন কৌশলের ব্যাপক পরিবর্তন।কাঠামোগত ও আদর্শগত পরিবর্তন ব্যতীত জনগণের ভাগ্য উন্নয়ন সম্ভব নয়। আর যেহেতু রামাফোসা গতানুগতিক রক্ষণশীলতার প্রতিনিধিত্ব করেন,সুতরাং তার পক্ষে বৈপ্লবিক পরিবর্তন একরকম অসম্ভব।তবে ৬৫ বছর বয়সী রামাফোসার মধ্যে বহু আগেই সম্ভাবনা দেখেছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদবিরোধী কিংবদন্তীর নেতা নেলসন মেন্ডেলা।তখন রামাফোসা ছিলেন খনি শ্রমিকদের নেতা। আফ্রিকান জাতীয় কংগ্রেসে মেন্ডেলা পরবর্তী নেতা হিসেবে মনোনোয়ন প্রত্যাশী ছিলেন রামাফোসা।ঐ সময়ে ব্যর্থতার মুখ দেখেন তিনি।অবশ্য সে ব্যর্থতার ওপর দাঁড়িয়ে এবার তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন। রামাফোসা প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর পরই দক্ষিণ আফ্রিকার শেয়ার বাজারে চাঙ্গাভাব লক্ষ করা করা যায়। লন্ডনের ‘গার্ডিয়ান’ মন্তব্য করেছে যে,‘বিপুল সম্ভাবনাময় হলেও দক্ষিণ আফ্রিকার এই কান্ডারির সামনে এখন অনেক বড় চ্যালেঞ্জ রয়েছে।’
দক্ষিণ আফ্রিকার রাজনীতিতে চেনা জানা এই রামাফোসা। গত ডিসেম্বরে জ্যাকব জুমার পরিবর্তে এএনসি দায়িত্ব নিয়েছেন তিনি। এবার দেশের প্রেসিডেন্টেরও দায়িত্ব নিলেন তিনি। দেশকে সমৃদ্ধির অতীত ঐতিহ্যে ফিরিয়ে আনতে, একে একটি আত্মমর্যাদাশীল দেশ হিসেবে দাঁড় করাতে অনেকটা দূরহ পথ পাড়ি দিতে হবে। নানা জাতি, ধর্ম, বর্ণ ও বৈষম্যে বিভক্ত দক্ষিণ আফ্রিকায় সুশাসন প্রতিষ্ঠা খুব সহজ সাধ্য কাজ নয়। একই রকম আশাবাদ আর স্বপ্ন নিয়ে নয় বছর আগে রামাফোসার পূর্বসূরি ২০০৯ সালের জাতীয় নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। কিন্তু প্রায় এক দশকে তিনি জাতির জন্য কোন সুফল বয়ে আনতে পারেননি। বরং দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, এমনকি নৈতিক স্খলনের অভিযোগে অভিযুক্ত হন তিনি। জ্যাকব জুমা ছিলেন নেলসন ম্যান্ডেলার উত্তরাধিকারের দাবিদার। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ তাঁকে অব্যাহত অসহযোগিতা, অস্থিরতা এবং অপবাদের মুখে পদত্যাগ করতে হয়। জুমা ছিলেন সেই দেশের উপরাষ্ট্রপতি । ১৯৯৯ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত তার কার্যকাল ছিল।
জ্যাকব জুমা ২০০৫ সালে দুর্নীতির অভিযোগে বরখাস্ত হন। তাঁর অর্থনৈতিক উপদেষ্টার মাধ্যমে তিনি ঘুষ গ্রহণ করেছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে । পরে অবশ্য জুমা অভিযোগ থেকে মুক্ত হন । ২০০৭ সালের ১৮ ডিসেম্বর জুমা এএনসির প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচিত হন। ২০০৯ সালের জাতীয় নির্বাচনে জুমা এএনসিকে বিজয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে দেন। পরবর্তীকালে ২০১২ সালের ১৮ ডিসেম্বর জ্যাকব জুমা পুনরায় এএনসির প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। তিনি ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে তাঁর জনপ্রিয়তায় ভাটা লক্ষ করা যায়। এই ক্ষয়িষ্ণু জনপ্রিয়তা নিয়ে পদত্যাগ করা পর্যন্ত তিনি ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত থাকতে সক্ষম হন। ক্ষমতাসীন সময়কালে তিনি বেশ কয়েকটি অভিযোগে অভিযুক্ত হন। তাঁর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগও উত্থাপিত হয়। অবশ্য পরে তিনি খালাসও পান। দুর্নীতির অভিযোগে তিনি দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ে ব্যস্ত থাকেন। ২০১৬ সালে দেশে সাংবিধানিক পরিষদ দুর্নীতির অভিযোগে তাঁকে পদত্যাগের আহ্বান জানায়। জাতীয় সংসদ অবশ্য তাঁকে অভিসংশনে ব্যর্থ হয়।
জ্যাকব জুমার বিরুদ্ধে একটি বড় ধরনের অভিযোগ ভারতীয় বংশোদ্ভুত গুপ্ত পরিবারের সাথে তার অর্থনৈতিক দুর্নীতির সম্পর্ক। তাঁর বন্ধুত্বের বিনিময়ে গুপ্ত পরিবার দক্ষিণ আফ্রিকার রাজনীতিতে অবৈধ হস্তক্ষেপের সুযোগ পায়। জ্যাকব জুমার বিরুদ্ধে আরো একটি গুরুতর অভিযোগ রাজনীতিকে পারিবারিক পর্যায়ে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা। ২০১৫ সাল থেকে এটা দৃশ্যমান হচ্ছিল যে তিনি তাঁর সাবেক স্ত্রী কোমাজানা লামিন দলামিনা জুমাকে এএনসির সভাপতির এবং দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট হিসেবে অভিসিক্ত করতে চান। এর মাধ্যমে তিনি দল এবং রাষ্ট্রের ওপর পারিবারিক নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠায় প্রয়াসী হন। এএনসির বিগত বার্ষিক অধিবেশনে জ্যাকব জুমার স্ত্রী এএনসির সভাপতির পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। রামাফোসা জয়লাভ করলে এএনসির সাথে জুমার রাজনৈতিক দূরত্ব আরো বেড়ে যায়। জ্যাকব জুমা প্রেসিডেন্ট থাকা অবস্থায় তার নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে সাধারণ মানুষ বেশ কয়েকবার নিগৃহীত হন। সাধারণ মানুষের ভোটে নির্বাচিত মানুষটি যখন নিজকে অসাধারণ ভাবেন তখন তার থেকে জনগণের আস্থা এমনিতেই উবে যায়। গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর যখন উপরাষ্ট্রপতি সিরিল রামাফোসা তাঁকে পরাজিত করে এএনসির সভাপতি নির্বাচিত হন প্রকৃত পক্ষে তখন থেকেই তার পতন কাল শুরু হয়। তিনি অব্যাহতভাবে চাপের মুখে থাকেন প্রেসিডেন্ট পদ থেকে পদত্যাগ করার জন্য।
এএনসি পরবর্তীকালে জ্যাকব জুমাকে পদত্যাগের আহ্বান জানায়। ৮ ফেব্রুয়ারি জ্যাকব জুমার জাতীয় সংসদে বার্ষিক ভাষণ দেওয়ার কথা ছিল। অসহযোগিতার মুখে তিনি ভাষণদান স্থগিত রাখেন। এএনসির নেতৃত্ব তথা রামাফোসার সাথে সংকটের সাংবাধানিক সমাধান নিয়ে সপ্তাহব্যাপী আলাপ আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু কিছুতেই জ্যাকব জুমা পদত্যাগে রাজি হন না। গত্যন্তর না দেখে জ্যাকব জুমার বিরুদ্ধে নিশ্চিত অনাস্থা প্রস্তাব গ্রহণের জন্য ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ নির্ধারিত হয়। উপায়ান্তর না দেখে জ্যাকব জুমা ১৪ ফেব্রুয়ারি গভীর রাতে জাতির উদ্দেশে দেয় ভাষণে পদত্যাগ করেন। উল্লেখ্য, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ পর্যন্ত জ্যাকব জুমা অনেকবার তাদের জাতীয় সংসদে অনাস্থা প্রস্তাবের সম্মুখীন হন। একই ঘটনা ঘটে শাসকদল এএনসিতে। জুমা তার স্বভাবসুলভ নরমগরম কৌশল দ্বারা উভয় ক্ষেত্রেই রেহাই পান। অবশেষে স্বৈরশাসন এবং দুর্নীতির অভিযোগে তাঁকে পদত্যাগ করতে হলো।
দক্ষিণ অফ্রিকার জনগণ আশা ও আশংকার মাঝে অপেক্ষা করছে। আগামী বছর ২০১৯ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত নতুন প্রেসিডেন্ট রামাফোসার জন্য আগামী নির্বাচন হবে একটি বিরাট চ্যালেঞ্জ। জনপ্রিয়তার লড়াইয়ে তিনি যদি জিততে পারেন সেটাই হবে তাঁর সাফল্যের পরিচয়। আগেই বলা হয়েছে রামাফোসার নতুন নেতৃত্ব নিয়ে আশা নিরাশার দোলাচলে আছে দক্ষিণ আফ্রিকাবাসী। রামাফোসার বর্ণাঢ্য জীবন। বর্ণবাদী শাসনবিরোধী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় চরিত্রগুলোর একজন তিনি। আন্দোলন, ত্যাগ তিতীক্ষার নজির যেমন রয়েছে তার জীবনে তেমনি ধন-দৌলত ও আরাম আয়েসী চরিত্রও আছে তাঁর।
প্রভাবশালী বাণিজ্য সাময়িকী ফোর্বসের ২০১৫ সালের আফ্রিকার ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় ৪২ নম্বরে ছিলেন রামাফোসা। সুতরাং জনগণের আশা এবং আশংকার কারণ রয়েছে। রামাফোসা তার পূর্বসূরি জ্যাকব জুমা থেকে শিক্ষা নিয়ে জনগণের প্রেসিডেন্ট হয়ে উঠবেন এটাই দক্ষিণ আফ্রিকার জনগণের স্বাভাবিক প্রত্যাশা। আর তাহলেই কেবল তাঁর কথিত ‘আফ্রিকার হৃদয়ে নতুন সূর্যোদয়’ ঘটবে।
লেখক : অধ্যাপক, সরকার ও রাজনীতি বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়